প্রতীকী ছবি।
সর্ব সাধারণের ব্যবহারের জন্য ‘কমিনিউটি টয়লেট’। তবে অভিযোগ, তা তৈরি হয়েছে পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরের ভাগ্নের বাড়িতে। ডালখোলা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ হালিম তাঁর ভাগ্নে মহম্মদ নাসিরের বাড়িতে শৌচাগার বসিয়েছেন। পুরসভা অবশ্য তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, এমএসডিপি আর্থিক সহযোগিতায় এই প্রকল্প। শহরের সংখ্যালঘু প্রধান এলাকায় মোট আটটি শৌচাগার গড়ে তোলা হয়েছে। এই আধুনিক শৌচাগারগুলোতে স্নানও করা যাবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এক একটি শৌচাগার করতে খরচ হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। আটটির মধ্যে দু’টি ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বসানো হয়েছে। অভিযোগ সেই দু’টি ব্যক্তিগত ভাবে বাড়িতে বসিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, গত বোর্ডে ওই ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএমের হালিম। পরে হালিম তৃণমূলে যোগ দেন। আর সেই প্রভাব খাটিয়ে নিজের আত্মীয়ের বাড়িতে শৌচাগার বসিয়েছেন। যদিও নাসিরের দাবি, বাড়িতে বসানো হলেও সেটা সবাই ব্যবহার করতে পারবেন। এতে বিতর্কের কিছু নেই। গ্রামবাসীরা জানান, অন্যের বাড়িতে শৌচাগার ব্যবহার করা কী ভাবে সম্ভব। একই ছবি ওই ওয়ার্ডের আরও এক ব্যক্তির বাড়িতেও।
হালিম অবশ্য দাবি করেন, ‘‘শহর এলাকায় এমনিতে কেউ জমি দিতে নারাজ। ওই দু’জন এগিয়ে এসেছেন। শর্ত দেওয়া ছিল, সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য। এতে অন্যায় কিছু দেখছি না।’’ পুরপ্রধান স্বদেশ সরকার বলেন, ‘‘খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবাই যাতে ব্যবহার করতে পারেন। সে ব্যাপারে দেখা হবে।’’ সিপিএম নেতা জগদীশ কুণ্ডু বলেন, ‘‘শেষে শৌচাগারে লুঠ!’’
কিছু দিন আগে ডালখোলা ১ পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান প্রমীলা বিশ্বাসের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা বিমল বিশ্বাসের বাড়িতেও নিজের ঘরে ওই কমিনিউটি টয়লেট বসানোর অভিযোগ উঠেছিল। বারবার দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে শাসক দল অস্বস্তিতে। জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘দুর্নীতির দায়ভার দল নেবে না। দুর্নীতির সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেপ্রশাসন।’’