সরকারি কৌঁসুলি বদল রায়গঞ্জ জেলা আদালতে

রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সরকারি কৌঁসুলির (পিপি) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শুভাশিস পালকে। শুভাশিসবাবু উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল লিগাল সেলের জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৩৫
Share:

রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সরকারি কৌঁসুলির (পিপি) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শুভাশিস পালকে। শুভাশিসবাবু উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল লিগাল সেলের জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর জায়গায় ওই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেলের অন্যতম সদস্য আইনজীবী দেবাশিস গুহকে। গত ৫ অক্টোবর রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করেছে।

Advertisement

জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের দাবি, দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে রাজ্য শুভাশিসবাবুকে পিপি-র পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচনে শুভাশিসবাবু দলের অনুমোদিত প্রার্থীকে না মেনে নিজেই ওই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কংগ্রেস ও সিপিএমের প্যানেলভুক্ত নির্বাচিত আইনজীবীদের সমর্থনে তিনি সভাপতিও নির্বাচিত হন। তারই জেরে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে দলের সুপারিশে রাজ্য সরকার তাঁকে পিপি-র পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। শুভাশিসবাবু বলেন, ‘‘আমি রায়গঞ্জের বাইরে রয়েছি। কোনও মন্তব্য করব না।’’

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালন সমিতির নির্বাচন হয়। নির্বাচনে সমিতির ১৭টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনে জয়ী হয়ে কংগ্রেস লিগাল সেলের হাত থেকে সমিতির ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল লিগাল সেল। তৃণমূলকে রুখতে ওই নির্বাচনে কংগ্রেস লিগাল সেল ও সিপিএম প্রভাবিত সারা ভারত আইনজীবী সংগঠন জোট করে ভোটে লড়েছিল। কংগ্রেস লিগাল সেলের প্রার্থীরা ৫টি ও সিপিএম প্রভাবিত সারা ভারত আইনজীবী সংগঠনের প্রার্থীরা ২টি আসনে জয়ী হন। গত ৯ অগস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচনের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে তৃণমূল লিগাল সেলের নির্বাচিত ৮ জন আইনজীবী সভাপতি পদে দলের অনুমোদিত প্রার্থী স্বরূপ বিশ্বাসের নাম প্রস্তাব করেন। সেই প্রস্তাবে বিরোধিতা করে তৃণমূল লিগাল সেলের নির্বাচিত এক আইনজীবীর সমর্থন নিয়ে আসরে নেমে পড়েন শুভাশিসবাবু। ফলে সভাপতি পদে ভোটাভুটি অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। প্রকাশ্যে হাত তুলে ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা। সভাপতি পদে দাঁড়িয়ে পড়েন স্বরূপবাবু ও শুভাশিসবাবু। স্বরূপবাবু নিজের ও তৃণমূল লিগাল সেলের নির্বাচিত আরও ৭ সদস্যের ভোট পান। শুভাশিসবাবু নিজের ভোট সহ তৃণমূল লিগাল সেলের এক নির্বাচিত সদস্য, কংগ্রেস লিগাল সেলের ৫ নির্বাচিত সদস্য ও সিপিএম প্রভাবিত সারাভারত আইনজীবী সংগঠনের ২ নির্বাচিত সদস্যের ভোট পান। সব মিলিয়ে শুভাশিসবাবু ৯-৮ ভোটে স্বরূপবাবুকে পরাজিত করে আগামী তিন বছরের জন্য বারের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপরেই তৃণমূল লিগাল সেলের আইনজীবীরা শুভাশিসবাবুর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী, অমলবাবু সহ রাজ্য লিগাল সেলের কাছে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ জানান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement