Gour Banga University

প্রথম সিমেস্টারে ‘হোঁচট’ গৌড়বঙ্গে, তদন্তে গড়া হল কমিটি

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মালদহ ও দুই দিনাজপুরের ২৫টি কলেজের স্নাতকের প্রথম সিমেস্টারের ফল প্রকাশিত হয়। জানা গিয়েছে, সমস্ত বিষয়ে ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় সিমেস্টার উঠেছেন মাত্র তিন শতাংশ পড়ুয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ০৯:১৪
Share:

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’ (এনইপি) চালুর পরে, স্নাতকের প্রথম সিমেস্টারের ফলে কার্যত ‘হোঁচট’ খেল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মালদহ ও দুই দিনাজপুরের ২৫টি কলেজের স্নাতকের প্রথম সিমেস্টারের ফল প্রকাশিত হয়। জানা গিয়েছে, সমস্ত বিষয়ে ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় সিমেস্টার উঠেছেন মাত্র তিন শতাংশ পড়ুয়া। ২৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রী অনুত্তীর্ণ। কেন এমন ফল হয়েছে, তা জানতে তদন্ত কমিটি গড়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার ফল পুনর্মূল্যায়ন ও কলেজগুলিতে পঠন-পাঠনে জোর দেওয়ার দাবিতে একাধিক কলেজে অবস্থান-বিক্ষোভ করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)।

Advertisement

এ দিন সামসি, পাকুয়াহাট, দক্ষিণ মালদহ কলেজে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় টিএমসিপি। সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে আন্দোলন করছি। কলেজগুলিতে সুষ্ঠু ভাবে ক্লাসের দাবি জানানো হয়েছে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “এ বারের ফল কেন এমন হল, তা জানতে কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সে কমিটির সদস্যেরা কলেজগুলির শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখবেন।” পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার বলেন, “স্নাতকের প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষার ৪৮ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশিত হল। এ বার ফল আশানুরূপ হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, স্নাতকের প্রথম সিমেস্টারে ৩৭,৪৪৮ জন পরীক্ষা দেন। ২৯,২১২ ছাত্রছাত্রী পাশ করেন। পাশের হার ৭৭.৪৬ শতাংশ। জাতীয় শিক্ষা নীতি চালু হওয়ায় এ বারে স্নাতকে অনার্স ও পাস কোর্স নেই। অনার্সের বদলে মেজর এবং মাইনর কোর্স রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের একটি মাইনর এবং দু’টি মেজরের সঙ্গে চারটি ঐচ্ছিক বিষয় নিয়ে ভর্তি হতে হয়। সাতটির মধ্যে কমপক্ষে দু’টি বিষয়ে ৪০ শতাংশ নম্বর থাকলে, দ্বিতীয় সিমেস্টারে ভর্তির সুযোগ মিলবে। দ্বিতীয় সিমেস্টারে উঠলেও, প্রথম সিমেস্টারের অনুত্তীর্ণ বিষয়গুলিতে পরে পরীক্ষা দিতে হবে। সাতটি বিষয়েই ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেন ১,৪০০ ছাত্রছাত্রী।

Advertisement

কর্তৃপক্ষের একাংশের দাবি, বহু কলেজে ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হয়। কলেজগুলিতে ঠিক মতো ক্লাসও হয় না। যার প্রভাব ফলে পড়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের একাংশের দাবি, এ বারে প্রথম সিমেস্টারে পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশকেই করোনা আবহে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হয়নি। ফলে, ভিত ‘নড়বড়ে’ থাকায় তাঁরা স্নাতক স্তরে সমস্যায় পড়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement