উত্তাল: নয়া আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ইসলামপুরে। শনিবার। ছবি: অভিজিৎ পাল
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শনিবার ইসলামপুর শহরের তিনপুর থেকে মিছিল বার করা হয়। রাস্তায় কয়েক জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও দেখানো হয়। বিক্ষোভের সময়ে অবশ্য কোনও গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়নি। তবে ওই সময়ে রাস্তা বন্ধ থাকায় দীর্ঘক্ষণ গাড়ি ও বাস আটকে ছিল। ফলে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, এই মিছিলের কোনও অনুমতি ছিল না। সে কথা জানিয়ে ইসলামপুরের পুলিশ সুপার সচিন মাক্কার বলেন, ‘‘তবে কোনও গন্ডগোল হয়নি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে গাড়িগুলিকে আটকে দেওয়া হয়েছিল।’’
এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ ইসলামপুরের তিনপুল এলাকায় বিক্ষোভকারীদের মিছিল বার হয়। সেখানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। মিছিলে শুধু ইসলামপুর শহরই নয়, ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও প্রচুর লোকজন এসে যোগ দেন। মিছিলটি আশ্রমপাড়া মোড় হয়ে বাস স্ট্যান্ড ঘুরে তিনপুল মার্কেটিংয়েই এসে শেষ হয়। তার মাঝে জাতীয় সড়কের উপরে ইসলামপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন বিক্ষোভকারীরা। বাস স্ট্যান্ডটি বলতে গেলে জাতীয় সড়কের উপরেই। ফলে সেই সময়ে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই সময় বিক্ষোভকারীরা প্রায় ৪৫ মিনিট বাস স্ট্যান্ডে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। তা ছাড়াও কয়েকটি জায়গায় জাতীয় সড়কের উপরে টায়ারও জ্বালানো হয়।
পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে, এই অবস্থান বিক্ষোভের ফলে ঘণ্টা দুয়েক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ইসলামপুর শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়ক। আটকে পড়ে একাধিক বাস ও গাড়ি। পুলিশ সূত্রে খবর, যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। ছিলেন ইসলামপুরে পুলিশ সুপার সচিন মাক্কার, ইসলামপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডল, এসডিপিও সোমনাথ ঝা-সহ শীর্ষস্থানীয় পুলিশ আধিকারিকেরা। পুলিশ সূত্রেই পড়ে দাবি করা হয়, এ দিন যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে ঢোকার মুখে ট্রাক, বাস আটকে দেওয়া হয়েছিল। বাসের অভাবে সমস্যার মুখে পড়েন অনেকেই। কেউ কেউ আবার বাস থেকে নেমে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছন। শিলিগুড়ি বা রায়গঞ্জ যাওয়ার বাসগুলিকেও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে মসরুর আলম বলেন, ‘‘ওই বিল সংবিধানবিরোধী। তাই আমরা আন্দোলনে নেমেছি। এই আন্দোলন আমরা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চালিয়ে যাব।’’