প্রতীকী ছবি।
মালদহের আম এ বারও বিদেশে রফতানির উদ্যোগ নিচ্ছে উদ্যানপালন দফতর। সূত্রে খবর, এ জন্য অ্যাপেডার সঙ্গে কথাবার্তা বলা শুরু করার পাশাপাশি রফতানিকারকদের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করেছেন জেলা উদ্যানপালন দফতরের কর্তারা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বারেও ফজলি, হিমসাগর, লক্ষ্মণভোগ ও গোপালভোগ আম পাড়ি দিতে পারে ইংল্যান্ড, জার্মানি, কাতার, বাহারিনে। তবে, এ বার শীত কাল দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় জেলায় আমের মুকুল দেরিতে এসেছে, স্বাভাবিক ভাবে ফলনও দেরিতে হবে। তার উপরে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির জেরে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে শেষ পর্যন্ত গুণমানসম্পন্ন কী পরিমাণ আম বিদেশে পাঠানো যাবে তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।
জেলা উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ৩১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়ে থাকে। হিমসাগর, ল্যাংড়া, লক্ষণভোগ, ফজলি, আম্রপালি, গোপালভোগ সহ প্রায় আশিটিরও বেশি প্রজাতির আম চাষ হয়। আমের ফলন গড়ে সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টন। তবে এ বারে কার্যত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ঠান্ডা থাকে। ডিসেম্বর মাসেও দফায় দফায় বৃষ্টিও হয়েছে। ফলে দেরিতে মুকুল ফুটেছে। আবার কয়েক দিন আগে টানা দু’সপ্তাহ তাপপ্রবাহে বেশ কিছু আম ঝরে পড়েছে। ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতেও ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এ বারে জেলায় আমের ফলন কমে ২ লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বিদেশে কী পরিমাণ আম রফতানি করা যাবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
তবে বিদেশে আম রফতানির ব্যাপারে অ্যাপেডা ও রফতানিকারকদের সঙ্গে সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্যানপালন দফতরের কর্তারা। জেলা উদ্যানপালন দফতরের উপ অধিকর্তা সামন্ত লায়েক বলেন, ‘‘শীত দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় এবং পরে ঝড় ও শিলা বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবারে জেলায় আমের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে লক্ষণভোগ, হিমসাগর, ফজলি, গোপালভোগ আম ইংল্যান্ড, জার্মানি, কাতার, বাহারিনে পাঠানোর ব্যাপারে আগে থেকেই আমরা অ্যাপেডার সঙ্গে কথাবার্তা বলা শুরু করেছি। বেশ কিছু রফতানিকারকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করছি সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবারও আমরা বিদেশে আম পাঠাতে পারব।’’