শিলিগুড়ি পুর নির্বাচনে ‘মিডিয়া সেল’ এবং তার পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত ২৫ মার্চ পযন্ত বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল পবে মিডিয়া সেল তৈরিই ছিল না। ফলে সেই থেকে এখনও সাংবাদিকদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজে। তা নিয়ে অভিযোগ করার পর মহকুমাশাসক তথা রিটার্নিং অফিসার দফতরের আধিকারিকদের মিডিয়া সেলের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করতে এবং প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই কাজ এখনও যথাযথ ভাবে হয়নি। মহকুমাশাসকের দফতরে হাউজিং বিভাগের কাজকর্মের একটি ঘর রয়েছে। দু দিন আগে সেখানেই মিডিয়া সেল খোলার নির্দেশ দেন মহকুমাশাসক। সেই ঘরেও মিডিয়া সেল খোলার ব্যবস্থা এ দিন পর্যন্ত হয়নি। দায়িত্ব দেওয়া হয় তথ্য সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিকদের উপর। অথচ বুধবারও সেখানে দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের বা দফতরের লোকদের দেখা মেলেনি। পরে মহকুমাশাসক নির্দেশ দিলে মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের দুই কর্মী গিয়ে বসার ব্যাবস্থা করেন।
মহকুমাশাসক দীপাপ প্রিয়া বলেন, ‘‘মিডিয়া সেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তথ্য সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিকরা তা দেখবেন। তাদের মাধ্যমে কোনও তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।’’ এ দিন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমাশাসক দীপাপ প্রিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের ১৩ নম্বর ঘরে মিডিয়া সেলের ঘরে বসতে বলা হয়। অথচ মহকুমাশাসকের দফতরে ১৩ নম্বর ঘর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে জানানো হয় হাউজিং বিভাগের কাজকর্ম চলে যে ঘরে সেখানেই বসতে। তখন ওই ঘরে হাউজিং বিভাগের কাজকর্ম চলছে। ১১ ফুট লম্বা, ১০ ফুট চওড়া ওই ঘরে বসার জায়গা নেই। তার মধ্যেই মিডিয়া সেল চলবে বলে জানানো হয়। তা নিয়ে আধিকারিকদের অনেকেই হতবাক। বিভিন্ন পত্রিকার পাশাপাশি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা কোথায় বসবেন, তারও জায়গা নেই। তা ছাড়া মহকুমাশাসক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রতিদিন দেখা করতে পারবেন না বলে খবর পাঠানোয় তা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। মহকুমাশাসকের নির্দেশ পেয়ে তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের দুই কর্মী সেখানে পৌঁছন। তাঁরাই জানিয়ে দেন কোনও প্রশ্ন থাকলে তাঁদের জানাতে। তারা মহকুমাশাসকের কাছ থেকে বিষয়গুলি জেনে নির্দিষ্ট সময়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানিয়ে দেবেন। অথচ এ দিন কোনও প্রশ্নেরই জবাব মেলেনি।