বেহাল বাঁধ।—নিজস্ব চিত্র।
বাঁধ সংস্কার না হলে বড় বিপদের শঙ্কা
‘আমার শহর’ বিভাগে বাঁধ নিয়ে আপনারা যে প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। বর্ষার সময় বাঁধের এই দুরবস্থার কথা নজরে আনায় আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই বিষয়ে আমি আরও কয়েকটি তথ্য তুলে ধরতে চাই। কোচবিহার পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধ ঘেঁষেই আমার বাড়ি। সে কারণে বাঁধের খারাপ অবস্থার কথা সব সময় আমাদের নজরে আসে। একটা সময় বাঁধের থেকে নদী নিরাপদ দূরত্বে ছিল। ফলে বাঁধের ওপারে চর এলাকায় কয়েকশো পরিবার বাড়িঘর তৈরি করে নিশ্চিন্তে ছিলেন। এখন নদী ক্রমশ বাঁধের দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। নদীতে জল বাড়লেই প্রত্যেকের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। জলের ঢেউ আছড়ে পড়ে বাঁধের কিনারে। বাঁধের বেশ কিছু এলাকায় পাথর ও মাটি আলগা হয়ে যাওয়ায় মনে হয় বাঁধে ফাটল হতে পারে। তাহলে বাঁধের এপার যেমন বিপন্ন হবে, তেমনি বানভাসি হবে ওপারের শহরও। আমার মনে হয় সেচ দফতর ও প্রশাসনের বিষয়টি অজানা নয়। কিন্তু কোন অজ্ঞাত কারণে বাঁধের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হয়না। জোড়াতালি দিয়ে দায় সারা হয়। দলমত নির্বিশেষে সবাই বাঁধ সংস্কার নিয়ে সরব না হলে ভবিষ্যতে বড় বিপদ হতে পারে।
অনির্বাণ কর, কোচবিহার
নিকাশি সমস্যা মেটাতে কারও হেলদোল নেই
নিকাশি বেহাল। জমে থাকা জলে ছ়ড়াচ্ছে দূষণ।—নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহার শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে আপনাদের প্রতিবেদনটি পড়লাম। ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে আরও কিছু বিষয় যুক্ত করা দরকার বলে মনে করছি। শহরের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে একটু বৃষ্টিতেই নিকাশি বেহাল দশা আমাদের সকলেরই ভোগান্তি বাড়ায়। অথচ ফি বছরই ভোটের সময় নিকাশির উন্নয়ন নিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি শোনা যায়। তবে নিকাশি সমস্যা মেটাতে কাজের কাজ আখেরে কিছু হয়না। শহরের পরিস্থিতি ভাল করে ঘুরে দেখতে বোঝা যায় প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে মূলত নিকাশি নালাগুলির মুখ আটকে সমস্যা বেড়েছে। অথচ প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধের ব্যাপারেও পুরসভার কোনও হেলদোল দেখা যায়না। কিছুদিন আগে এ সব নিয়ে কিছু হোর্ডিং দেওয়া হয়েছিল মাত্র। সবথেকে বড় সমস্যা নিকাশির ওই বেহাল দশার জন্য জলে আর্বজনা পর্যন্ত ভেসে রাস্তা থেকে বাড়ির উঠোন পর্যন্ত জমা হলেও কারও কোনও হেলদোল নেই। কোচবিহার রাজবাড়ি শহরের মূল আকর্ষণ। ভাবতে লাগে সেই রাজবাড়ির সামনের নিকাশির হাল সবচেয়ে খারাপ। ভারী বৃষ্টি হলে ওই রাস্তা জল থইথই চেহারা নেয় সবার আগে। তার কাছেই রয়েছে বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড, এনবিএসটিসি’র টার্মিনাস। অসংখ্য যাত্রী, বিশেষ করে মহিলাদের ওই দুর্বিষসহ জল যন্ত্রণা পেরিয়েই গন্তব্যের বাস ধরতে হয়। ওই সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে দ্রুত পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
পারিজাত দত্ত, কোচবিহার