দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে পরিচিত মিরিক লেক নামেই। নথিতে নাম সুমেন্দু লেক। পাশে পাইনের বিরাট জঙ্গল। মাঝে ৮০ ফুটের পাকা সেতু। সকাল থেকে সন্ধ্যা—বর্ষার মরসুম বাদে মিরিক লেক ভরে থাকে পর্যটকদের ভিড়েই। এই লেকই এ বার পুরভোটে মিরিকের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। লেকের এমনই টান, মিরিকে পুরসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে অনেক নেতানেত্রী লেকটি দেখেও আসেন। সব পক্ষই লেকটিকে আরও ভাল করে সাজাবেন বলে দাবি করেন।
লেকের সংস্কার থেকে পার্কিং, সৌন্দর্যকরণের আশ্বাস দিয়ে প্রচারপত্র বিলি করছে তৃণমূল। বাদ থাকেনি পাহাড়ের ক্ষমতাসীন মোর্চাও। জিটিএ থেকে লেকের সংস্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ করা কাজও শুরু হয়েছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার মিরিকে তৃণমূলের জনসভা হয়। সেখানে এসজেডিএ চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ছোটবেলায় মিরিকে এসেছি। সেই সময় কী ছিল লেক! এখন কী হাল। মিরিক লেকের হাল আমাদের ফেরাতেই হবে। লেকের সংস্কার, সুষ্টু পার্কিং ব্যবস্থা ছাড়াও দার্জিলিঙে ম্যাল চৌরাস্তার মতো এলাকায় মিরিকে তৈরির প্রস্তাব রয়েছে।’’ মিরিকের সদ্য প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান লাল বাহাদুর রাই থেকে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, তৃণমূলের পাহাড় কমিটির মুখপাত্র বিন্নি শর্মার মুখে এ দিন সকাল থেকেই ছিল মিরিক লেকের প্রসঙ্গ। সভা, প্রচারের ফাঁকে তাঁরা দেখেও আসেন লেককটি।
শাসক দলের ওই নেতারা জানান, ‘‘আমরা বোর্ডে ক্ষমতায় আসলে জমির পাট্টা থেকে রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুতের সঙ্গে প্রথম কাজ হবে মিরিক লেককে কেন্দ্র করে পর্যটন বিকাশ। আমাদের দলনেত্রীও সেটাই চান।’’
তৃণমূলের পাল্টা দাবি করেছে মোর্চাও। দেওয়ালে পোস্টার সেঁটে মিরিককে সাজার দাবিও করেছে মোর্চা। দলের নেতারা জানিয়েছেন, ২০০৩ সাল নাগাদ সুবাস ঘিসিঙ্গ এক দফায় মিরিক লেকার সংস্কার করান। তার পরে ২০১৪ সালে জিটিএ লেকের জন্য ৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সংস্কারের কাজের ঢিমেতাল চলছে কেন, তা নিয়ে বাসিন্দাদের একাংশ প্রশ্নও তুলেছেন। তাতে মোর্চার সহকারী সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাঙ্গ বলেন, ‘‘আমরা মিরিককে যে ভাবে সাজাচ্ছি, তা দেশের যে কোনও জনপ্রিয় হিল স্টেশনকে হার মানাবে। তবে সময় তো একটু দিতে হবে।’’