থানায় জলসা, রায়গঞ্জে পাড়া কাঁপিয়ে নাচ-গান পুলিশের

খোদ পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধেই একেবারে থানা চত্বরে জোরালো শব্দে মাইক বাজিয়ে জলসার আয়োজন করার অভিযোগ উঠল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৫৫
Share:

বিধিভঙ্গ: বক্স বাজিয়ে উদ্দাম নাচ পুলিশকর্মীদের। নিজস্ব চিত্র

খোদ পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধেই একেবারে থানা চত্বরে জোরালো শব্দে মাইক বাজিয়ে জলসার আয়োজন করার অভিযোগ উঠল।

Advertisement

রায়গঞ্জ থানায় বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত ওই দেওয়ালির গানবাজনার আসর চলে। অনুষ্ঠান মঞ্চে গানের তালে কোমর দোলাতে দেখা গিয়েছে জেলার এক ডিএসপি-সহ থানার পুলিশ আধিকারিকদের অনেককেই। আইসিকেও দেখা যায় হাততালি দিয়ে উদ্দাম নাচের সঙ্গে তাল মেলাতে। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসপি সদর-সহ জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের অনেকেই। রাত ১০টার পর জোরালো মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও থানা চত্বরে গভীর রাত পর্যন্ত এমন অনুষ্ঠান কীভাবে চলল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। থানা লাগোয়া এলাকার অনেক বাড়ি রয়েছে।

বৃহস্পতিবার থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট শুরু হয়েছে। তার আগে গভীর রাত পর্যন্ত এমন অনুষ্ঠান নিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশকর্তারা। পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘গানের অনুষ্ঠান। দীপাবলির সন্ধ্যা পালন। এর বাইরে কিছু নয়। পুলিশকর্মীদের কিছুটা বিনোদন মাত্র। অন্য ভাবে না দেখলেই ভাল।’’

Advertisement

অনুষ্ঠানে ছিলেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকারও। তিনি অবশ্য শুরুতে কিছুক্ষণ থেকে চলে যান। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, জোরালো শব্দের জেরে ডিজে নিষিদ্ধ হয়েছে। গভীর রাতে জোরালো শব্দে মাইক, সাউন্ডবক্স বাজানোতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পুলিশেরই তা দেখার কথা। কিন্তু তারা তা দেখে না। পুজোর ভাসান থেকে ছটপুজোতেও শব্দবাজি এবং ডিজের দাপট চলেছে বলে অভিযোগ। তার উপর পুলিশ থানার মধ্যেই জোরে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে জলসা বসালে অন্যরাও উৎসাহ পাবে।

ওই অনুষ্ঠানের চলাকালীনই শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। পুলিশকর্তাদের কাছে খবর আসার পর নাচগানের মধ্যেই পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ পাঠানো হয়।

পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, দেওয়ালির সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন হয়েছিল ওইদিন রায়গঞ্জ থানার উদ্যোগে। থানা চত্বরে কালীপুজোর জন্য করা মণ্ডপেই স্টেজ তৈরি হয়। পুলিশের অনুষ্ঠান বলে সরকারি অনুষ্ঠানের ধাঁচে নীল সাদা দিয়েই প্যান্ডেল করা হয়েছিল। শুরুতে দুঃস্থ বাসিন্দাদের হাতে কম্বল বিলি করা হয় মঞ্চ থেকেই। তার পর শুরু হয় গানের অনুষ্ঠান। রাত ৮ টা নাগাদ শুরুতে দুই একটি হিন্দি সিনেমার গানের পরই উদ্দাম নাচ শুরু হয়। চলতে থাকে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement