অভিযোগ

সরকারি নালিশ ফেরালো পুলিশ

থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়৷ রাজ্যের নানা প্রান্তে এ ধরনের অভিযোগ মাঝেমধ্যেই ওঠে৷ কিন্তু জলপাইগুড়ি জেলার একটি থানার বিরুদ্ধে এ বার খোদ সরকারি দফতরের অভিযোগই ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৪১
Share:

থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়৷ রাজ্যের নানা প্রান্তে এ ধরনের অভিযোগ মাঝেমধ্যেই ওঠে৷ কিন্তু জলপাইগুড়ি জেলার একটি থানার বিরুদ্ধে এ বার খোদ সরকারি দফতরের অভিযোগই ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল৷

Advertisement

বাধ্য হয়ে ওই দফতরের কর্তারা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন৷ একটি সরকারি জমি দখল করে সেখানে একটি নির্মাণ কাজ করা নিয়ে যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত৷ পূর্ত দফতরের সেই অভিযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বানারহাট থানার বিরুদ্ধে৷ ক্ষুব্ধ দফতরের কর্তারা প্রশাসনের কাছেও বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান৷ জেলার পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন৷

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গয়ারকাটা চৌপথীর পাশে পূর্ত দফতরের একটি জমি রয়েছে৷ ওই জমিতে কেউ বা কারা দিন কয়েক আগে একটি মন্দির নির্মাণ শুরু করেন৷ শুক্রবার জমিটি পরিদর্শন করে তা জানতে পারেন পূর্ত দফতরের কর্তারা৷ এর পর ওই দিনই একটি এফআইআর দফতরের এক কর্মীর হাত দিয়ে বানারহাট থানায় পাঠান গয়ারকাটা সাব ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার৷ অভিযোগ, পুলিশ ওই কর্মীকে ফিরিয়ে দেয়। এর পর দফতরের এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার অভিযোগপত্রটি নিয়ে থানায় গেলে তাঁকেও ফেরানো হয় বলে অভিযোগ৷ এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে পূর্ত কর্তাদের মধ্যে৷ তাঁদের প্রশ্ন—সরকারি একটি জমি দখল হয়ে যাওয়ার জন্য সরকারি দফতরের অভিযোগই যদি থানা এ ভাবে ফিরিয়ে দেয়, তা হলে সাধারণ মানুষের যে কী দশা তা তো বোঝাই যাচ্ছে গয়ারকাটা সাব ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দু’বার অভিযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার পর বিষয়টি প্রশাসনের কর্তাদের জানানো হয়৷ পাশাপাশি জলপাইগুড়ি পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে জানানো হয়৷ সেখান থেকে সেটি পুলিশ সুপারের কাছে যায়৷ পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক এ দিন জানান, ওই দিনই অভিযোগ পত্রটি তাঁরা পুলিশ সুপারকে পাঠান৷ বানারহাট থানার পুলিশ অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ মানতে চায়নি৷ থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে অভিযোগ পাইনি৷ ফলে ফেরৎ পাঠানোর প্রশ্নই নেই৷’’ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement