IPL 2020

আগে কেন খোঁজ নেই, প্রশ্ন

দু’টি আলাদা অপরাধের সূত্র ধরে শনিবারই শহরে এসেছে রাজস্থান পুলিশ এবং তেলেঙ্গানা পুলিশের দল।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

একদিকে আইপিএল বেটিং, অন্যদিকে কলসেন্টার থেকে প্রতারণাচক্র—সম্প্রতি এমন দু’টি আলাদা আলাদা অভিযোগে তদন্তে শিলিগুড়ি শহরে এসেছে রাজস্থান পুলিশ এবং তেলেঙ্গানা পুলিশ। অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে যুক্ত থাকার শিলিগুড়ি শহর থেকে এখনও পর্যন্ত সাতজন ধরা পড়েছে। শহরে বসে অপরাধের ছক কষা হলেও শিলিগুড়ির পুলিশ কেন আগে থেকে তা জানতে পারছেন না সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নাগরিকদের একাংশ।

Advertisement

ওই দু’টি আলাদা অপরাধের সূত্র ধরে শনিবারই শহরে এসেছে রাজস্থান পুলিশ এবং তেলেঙ্গানা পুলিশের দল। একটি অভিযোগ, ডেটিং কলসেন্টার থেকে অন্তত ১০ কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। যার আঁতুরঘর ছিল শিলিগুড়ি। কেন কমিশনারেটের বিভিন্ন শাখা থাকা সত্ত্বেও এখানকার পুলিশ তা জানতে পারল না? তা নিয়ে অবশ্য শিলিগুড়ি পুলিশের কোনও কর্তাই কিছু বলছেন না। মেসেজ পাঠিয়েও জবাব মেলেনি সিপি ত্রিপুরারি অথর্বের। এর আগে বাগডোগরায় বসে শহরে ১০ কোটি টাকা সোনা লুটের ছক কষা হয়েছিল। গত বছর বর্ধমান রোডে ওই লুটের পুরো মাল এখনও উদ্ধার হয়নি। ধরা পড়েনি মূল দোষীরাও।

তেলেঙ্গানা পুলিশের তদন্তকারী এম রবীন্দ্র রেড্ডি বলেন, ‘‘শিলিগুড়ির বেশ কিছু কলসেন্টার থেকে প্রতারণার ৫৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে সাইবারাবাদে। এগুলির মূল মাথা দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, মীণাক্ষী দে এবং সন্তু দাস বলে আমাদের প্রমাণ রয়েছে।’’ এদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। এক একজনের কয়েকটি করে কলসেন্টার রয়েছে বলে সূত্রের দাবি। এম রবীন্দ্র রেড্ডির দাবি, ‘ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস’ ব্যানার লাগিয়ে ডেটিংসাইট এবং অ্যাপ বানিয়ে তার মাধ্যমে প্রতারণা করছে অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে মাটিগাড়া থানা এবং ভক্তিনগর থানা এলাকা থেকে সাত জনকে ধরে পুলিশ। তাদের তিনজনের রিমান্ড নিয়ে বাকিদের সাইবারাবাদে হাজিরার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তেলেঙ্গানা পুলিৈশের দাবি, আশ্রমপাড়া, পাঞ্জাবীপাড়া, মাটিগাড়া এবং পাকুড়তলা মোড় এলাকায় এরকম বেশ কিছু কলসেন্টারের দিকে নজর রয়েছে তাদের।

Advertisement

শহরে ক্রিকেট জুয়া শুরুর ঘটনাও সামনে এসেছে রাজস্থান পুলিশের মাধ্যমে। ২ নভেম্বর শিলিগুড়ির দুই যুবক সুজল সাহা এবং রমেশ পারেখ ধরা পড়ার পর রাজস্থান পুলিশের দল শিলিগুড়ি এসে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আদানপ্রদান করছে। সুকান্তনগরের এক ব্যবসায়ীর খোঁজ শুরু করেছে তারা। প্রাথমিক তদন্তে আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, আইপিএল শুরু হলেই শিলিগুড়ি থেকে বুকিরা রাজস্থানে চলে যেত। সেখান থেকেই চক্র চলত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement