পালাচ্ছে শিকারিরা।—নিজস্ব চিত্র।
ডুর্যাসের জলঢাকা নদীতে ইনভার্টার চালিয়ে, ব্যাটারি বাহিত বিদ্যুৎ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে।
গত বছর বর্ষায় পানবাড়িতে কামার ঘাটের কাছে জলঢাকা নদী গতিপথ বদল করে পূর্ব দিকে চারশো মিটার সরে ফের দক্ষিণ দিকে গিয়ে বারোহাতি নদীতে মিশেছে। নদী চওড়ায় কম এবং গভীরতায় বেশি হওয়ায় এলাকার প্রচুর মৎস্যজীবী জালে মাছ ধরে সংসার প্রতিপালন করেন। এলাকার মৎস্যজীবী সুকু দাস, বাণেশ্বর দাস, ফলিন রায়, দয়াল রায়রা বলেন, ‘‘জলঢাকা নদীতে সারা বছর মাছ শিকার করে সংসার চলে। কিন্তু নদী গতিপথ পাল্টে খালের মতো হয়ে গিয়েছে। জলও বেশি। মাছ আসে প্রচুর। কিন্তু কিছু চোরাশিকারি ইনভার্টার দিয়ে মাছ মেরে শেষ করে দিচ্ছে। আগে বিষ তেল দিয়ে মারত। এখন রোজ সকালে নদীর পারে দেখা যায় তার বিছিয়ে বিদ্যুৎ চালিয়ে মাছ মারা হচ্ছে। দেখার কেউ নেই।’’ তা ছাড়া জলে নামতে গিয়ে বিছিয়ে রাখা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এর আগে একাধিক বার দুর্ঘটনার মুখেও পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, ‘‘নদীয়ালি মাছের প্রজাতি হারিয়ে যাবে। বন দফতর, প্রশাসন, পুলিশের দেখা উচিত।’’ জলপাইগুড়ি বন্য প্রাণী বিভাগ (২) ডিএফও উমা রানি বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি। বনকর্মীদের নজরদারি করতে বলব। পুলিশ প্রসাশনের সঙ্গে যোগাযোগ করব।’’ রামসাই গ্রামের প্রধান ভূপেন রায় বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এই ভাবে মাছ ধরা অপরাধ।’’ বুধবার সকালে পানবাড়ির জলঢাকায় ওই বিপজ্জনক মাছ শিকারের ছবি তুলতে গেলে পড়িমরি করে পালাতে দেখ যায় চোরাশিকারিদের।