হাতি ঘর ভেঙে দিয়েছে কিন্তু বনদফতরের থেকে ঘর মেরামত করেনি। কারও বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্যে টাকা দেওয়া হলেও সেই সংযোগ এখনও আসেনি। কোনও ক্ষেত্রে শৌচাগার তৈরির জন্যে আবেদন করেও পঞ্চায়েত কাজ শুরু করেনি বলে নালিশ।
রবিবার ডুয়ার্সের বন্ধ কুমলা চা বাগানের লোক আদালতে শ্রমিকদের থেকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে এমনই নানা অভিযোগ শুনতে হল বিচারকদের। বাগানে বসেই সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরগুলির উপস্থিত প্রতিনিধিদের দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করার নির্দেশও দিলেন তাঁরা। দু’টি পৃথক বেঞ্চ ছিল এই লোকআদালতে। রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এবং দার্জিলিঙ জেলা লিগাল এইড ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এই লোকআদালতে এ দিন ১৪৭০টি মামলা দায়ের হয়। প্রতিটিরই রায় ঘোষণাও হয় এ দিন।
এ ছাড়াও বাগানের মধ্যে থাকা ১৭জন অনাথ শিশু , কিশোর-কিশোরীদের জীবনযাপনের মান খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা সমাজকল্যাণ দফতরকে। এর সঙ্গে ১১জন প্রতিবন্ধী শিশু, কিশোর-কিশোরীদের ভাতা প্রদানের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। লোকআদালতে এ দিন উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ দফতরের জেলা আধিকারিক পীযূষ সাহা। সমস্ত নির্দেশ দ্রুত মানা হবে বলে জানিয়েও দেন তিনি। ছিলেন আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সহ-সভাপতি তেজকুমার টোপ্পোও। তিনি বলেন, ‘‘আধারকার্ড , রেশনকার্ডের নানা ভুল বাগানের অন্যতম বড় সমস্যা।’’ সেই সংক্রান্ত মামলাও লোকআদালতে গৃহীত হওয়ায় খুশি শ্রমিকেরা।