লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন

ভোট নিয়ে তাতছে কোচবিহার

এখনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। কবে নির্বাচন, তা ঘোষণা হয়নি। কিন্তু সে জন্য বসে থাকতে চাইছে না যুযুধান ডান-বাম কোনও শিবিরই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৬ ০১:১৮
Share:

এখনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। কবে নির্বাচন, তা ঘোষণা হয়নি। কিন্তু সে জন্য বসে থাকতে চাইছে না যুযুধান ডান-বাম কোনও শিবিরই।

Advertisement

কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যে ঘর ঘোছানোর কাজ শুরু করেছে সব দল। প্রাথমিক ভাবে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার ব্যাপারেও আলোচনা শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে দুর্গাপুজো ঘিরে উন্মাদনার রেশ কাটতে না কাটতে নির্বাচনের দামামায় ক্রমশ সরগরম হচ্ছে কোচবিহার।

দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার (সংরক্ষিত) আসনে তৃণমূল প্রার্থী রেণুকা সিংহ জয়ী হন। অগস্টে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রেণুকাদেবীর মৃত্যু হয়। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সঙ্গে ওই আসনের উপনির্বাচনের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলি ঘর ঘোছাতে তৎপর হয়ে উঠেছে। শুক্রবার কোচবিহার জেলা দফতরে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। ২৩ অক্টোবর একই বিষয়ে সুকান্ত মঞ্চ শরিক দলের নেতা ও বাছাই কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করবে বামফ্রন্ট । বিজেপিও একটি বৈঠক করেছে। বুধবার কোচবিহার জেলা দফতরে ওই বৈঠক হয়েছে। শাসক দল তৃণমূলও জেলা জুড়ে সাংগঠনিক কর্মসূচি শুরু করেছে। কর্মীদের চাঙা করার জন্য প্রক্রিয়া চলছে।

Advertisement

রাজনৈতিক মহল সূত্রের খবর, কোনও দল এখনও প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি। পছন্দের প্রার্থী পাওয়া নিয়ে বামেরা যেমন উদ্বেগে রয়েছে, তেমনই শাসক দল তৃণমূল শিবিরের চিন্তা বেড়েছে দাবিদারদের সংখ্যাধিক্যের জন্য। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য বলেছেন, “প্রার্থী কে হবেন, সেটা ঠিক করবেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। তবে উপনির্বাচনের জন্য আমরা তৈরি রয়েছি। এ বার আসনটিতে দলের জয়ের ব্যবধান বাড়ানোই লক্ষ্য।” ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সভাপতি পরেশ অধিকারী বলেন, “দিন ঘোষণার জন্য আমরাও বসে থাকতে চাইছি না। সম্ভাব্য হিসেবে একাধিক নাম রয়েছে। বাম নেতা, বাছাই কর্মীদের সভায় সব কিছু আলোচনা হবে।”

দল সূত্রের খবর, এ দিন কংগ্রেসের বৈঠকে উপনির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগ্রহী প্রার্থীদের শনিবারের মধ্যে বায়োডাটা জমা দিতে বলা হয়েছে। জেলা কংগ্রেস নেতা কেশব রায় বলেন, “উপনির্বাচনে আমরা লড়ছি।” কোচবিহার জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরীও বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, জোট হোক বা একক লড়াই—সমস্ত পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে চাইছেন তাঁরা। এ দিন তাঁর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা যায়নি। ওই বৈঠকে শঙ্কর মালাকার, বিশ্বরঞ্জন সরকার প্রমুখও উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন দে বলেন, “সব দিক চিন্তাভাবনা করে একটি তালিকা রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠানো হবে। দল যাকে টিকিট দেবে, তিনিই প্রার্থী হবেন।”

গত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী রেণুকা দেবী ৮৭ হাজারের বেশি ভোটে ফব’র দীপক রায়কে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন। বিজেপি প্রার্থী হেমচন্দ্র বর্মন তৃতীয়, কংগ্রেসের কেশব রায় চতুর্থ স্থান পেয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement