শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎকে স্বাগত জানাচ্ছেন দফতরের কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। এর মধ্যেই বিরোধীদের অভিযোগের নিশানায় নতুন মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মণ। তবে সব অভিযোগই নস্যাৎ করে দিয়েছেন মন্ত্রী।
উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের রুনিয়া এলাকায় সত্যজিতের বাড়ি। তৃণমূল সূত্রের খবর, রান্নার গ্যাসের এজেন্সি ও পেট্রল পাম্পের পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সত্যজিৎ। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাক্তন সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন, ‘‘সত্যজিৎবাবু এর আগে বিপিএল তালিকাভুক্ত মানুষদের গ্যাস সংযোগ মোটা টাকায় অন্যদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। ফলে, আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত এক জনের মন্ত্রিত্বের পদে বসা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’’
এ দিন রায়গঞ্জে সংগঠনের জেলা কার্যালয়ে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক তথা সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সত্যজিতের নাম না করে এ দিন মীনাক্ষী বলেন, “নতুন মন্ত্রীর পুরনো ব্যবসা, টাকা তছরুপের গল্প কী রয়েছে, সেটা সবাই জানেন।’’ নাম না করে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তর টিপ্পনী, ‘‘তোলাবাজি, কাটমানি, মদের আসর বসানোর ঘটনায় কারা জড়িত, সে কথা সকলেই জানেন।’’
বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করে সত্যজিৎ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সহযোগিতায় দফতরের বিভিন্ন সরকারি কাজ সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালনা করাই এখন আমার প্রধান লক্ষ্য।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, রাজনৈতিক মাটি শক্ত করতে সত্যজিতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার ছড়ানোর চেষ্টা করছে। কানাইয়া বলেন, ‘‘সত্যজিৎবাবু রাজবংশী সমাজের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রতীক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজবংশীরা বিরোধীদের যোগ্য জবাব দেবেন।’’