বাইরে থেকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ঢুকছে শহরে। সেই সঙ্গে চুপিসাড়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী তা ব্যবহারের চেষ্টাও করছেন বলে অভিযোগ। সমস্যা মেটাতে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে পুর এলাকায় চুপিসাড়ে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফের অভিযানে নামার কথাও জানানো হয়েছে। আজ, শনিবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসবেন পুর কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ, বিধান মার্কেট-সহ শহরের বাজারগুলির একাংশে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ চুপিসাড়ে ব্যবহার চলছেই। তা নিয়ে ব্যবস্থা নিতে না পারায় পুর কর্তৃপক্ষকেই দুষছেন বিরোধীরা। কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কেন না, কংগ্রেসের পুরবোর্ডে ক্ষমতায় থাকার সময় প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধ করতে পদক্ষেপ করা হয়। এক বছরের মধ্যেই শহরকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত ঘোষণা করে তারা। লাগাতার অভিযান, কড়া ব্যবস্থা এবং সচেতনতা প্রচার চালিয়ে সাফল্য এসেছিল বলে তাঁরা জানান। বর্তমান পুর কর্তৃপক্ষ সেই কাজটাই করতে পারছেন না কেন প্রশ্ন তা নিয়েই। মেয়র বলেন, ‘‘বাইরে থেকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ যাতে শহরে না-ঢোকে সে জন্য ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসককে জানানো হয়েছে। পুলিশ নিয়ে ওই বৈঠক হবে।’’ জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, দ্রুতই বৈঠক ডাকা হবে।
পুর দফতরের পরামর্শ মেনে শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রুখতে তিন মাস ধরে অভিযানের পরিকল্পনার কথাও ভাবছেন পুর কর্তৃপক্ষ। তার অঙ্গ হিসেবেও শহর প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত রাখার বিষয়টি থাকছে। ওয়ার্ড কমিটি এবং বরো অফিসগুলিকেও আলাদা করে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। বিভিন্ন স্কুলগুলোতেও প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচার হবে। ছাত্রছাত্রীদের দিয়েও বিভিন্ন জায়গায় প্রচার চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হবে। পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘নিয়মিত নজরদারি, একাধিকবার অভিযান হয়েছে। তবে মহকুমার অন্য এলাকা থেকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ শহরে ঢুকছে।’’ সেটাই সমস্যার মূল কারণ বলে তাঁর দাবি।