বসুধৈব কুটুম্বকম: জঙ্গলে আসা অতিথি ও পর্যটকদের এই হাতিদের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। সোমবার বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও স্বাগত জানাতে ছিল এই হাতির দল। তবে করোনা আবহে নানা বিধিনিষেধের জেরে আপাতত কিছুদিন সাধারণ পর্যটকদের এই আনন্দ থেকে বঞ্চিতই থাকতে হবে। নিজস্ব চিত্র
পর্যটকদের জন্যে জঙ্গল আগামিকাল, বুধবার থেকে খুলে যাচ্ছে। কিন্তু অনলাইনে জঙ্গল ভ্রমণের টিকিট বুকিংয়ের পরিকল্পনার কথা বন দফতর ঘোষণা করলেও আপাতত তা হচ্ছে না বলেই শেষ মুহূর্তে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ অফলাইন বা টিকিট কাউন্টারে দাঁড়িয়েই টিকিট কাটতে হবে পর্যটকদের। করোনা আবহে নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে নিয়মে কী কী বদল আনা হবে তা চূড়ান্ত ভাবে খতিয়ে দেখতে আজ, মঙ্গলবার সুকনা বনবাংলোয় বৈঠকে বসছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে যোগ দিতে একদিন আগেই, সোমবার উত্তরবঙ্গে এসেছেন রাজীব। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের গরুমারা বনবাংলোয় রাত্রিবাস করেন তিনি।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গলের নজরমিনারে ৪০ জন পর্যটকের পরিবর্তে এখন একসঙ্গে ২০ জন প্রবেশের অনুমতি পাবেন। তবে জঙ্গলে ঘোরার গাড়িতে পর্যটক সংখ্যা চারজন বেঁধে দেওয়ায় চিন্তায় সব পক্ষই। কারণ এতে পর্যটক-পিছু গাড়ি ভাড়া বেশি গুনতে হবে। কিন্তু অনলাইন টিকিট কাটার ব্যবস্থা চালু না হওয়ার বিষয়টি ভাবাচ্ছে নানা মহলকে। টিকিট কাউন্টারগুলোতে ভিড় কী ভাবে এড়ানো সম্ভব সেটাই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে বনকর্তাদের। লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব দিব্যেন্দু দেব বলেন, “অফলাইন ব্যবস্থা চালু হলেও আমরা খুশি। কিন্তু সব জঙ্গলের জন্যে একই নিয়ম চাই।”