—প্রতীকী চিত্র।
আলিপুরদুয়ারের সাত বছরের নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের মামলায় শুক্রবার গ্রেফতার হল আরও এক জন। শুক্রবার তাকে আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হয় তাকে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি বাকি তিন জনের মতো ধর্ষণ ও খুনে সরাসরি যুক্ত, না তাদের সাহায্য করেছে—তা এখনও পরিষ্কার নয়। জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ‘‘এ ঘটনায় যুক্ত সকলে যাতে কঠোর শাস্তি পায়, সেই চেষ্টাই আমরা করছি। পকসো মামলা রুজু করা হয়েছে। তার মধ্যেই গণধর্ষণ, খুন-সহ একাধিক ধারা রয়েছে।’’
যদিও নাবালিকার পরিবার ও পড়শিদের অভিযোগ, ধৃত বাকি তিন জনের মতো চতুর্থ জনও ধর্ষণ-খুনে সরাসরি জড়িত। তার বাড়ি একই এলাকায়। তারা পূর্ব পরিচিত। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘নাবালিকা খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে প্রথমেই তিন জনকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে তুলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে আর এক জনের নাম। তাকেও এ দিন তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে। তবে সে ধর্ষণে ও খুনে সরাসরি জড়িত কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’’ পুলিশ সূত্রে আরও খবর, ওই চতুর্থ ব্যক্তিকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের করে এই ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ নাইস বলেন, ‘‘নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে প্ৰথম দিন থেকেই রয়েছি আমরা। দোষীরা যাতে শীঘ্র শাস্তি পায়, সে দাবি আমাদের তরফে জানানো হয়েছে।’’