পুলিশের জালে ধনকুমার বর্মণ। —নিজস্ব চিত্র।
কলেজ ছেড়ে কেএলও জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছিল কোচবিহারের বক্সিরহাটের হরিহাটের বাসিন্দা ধন কুমার বর্মণ ওরফে স্বপন। বছর ছব্বিশের সেই স্বপনকে এ বার গ্রেফতার করল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।
রবিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজ্যের এসটিএফ অভিযান চালায় ইন্দো-নেপাল সীমান্ত এলাকায়। খড়িবাড়ি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায় তারা। সেখান থেকেই ধন কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। এসটিএফের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ধন কুমার স্বীকার করেছে, সে তুফানগঞ্জ কলেজের ছাত্র ছিল। মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে কেএলও সংগঠনে যোগ দেয়।
এসটিএফের ডিএসপি সুদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আগে যে দু’জন কেএলও জঙ্গি ধরা পড়েছিল, তারা কেউ অর্থ কেউ বা অস্ত্র জোগাড় করত। কিন্তু ধন কুমারের সঙ্গে জীবন সিংহের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। ধনকুমার জীবন সিংহের নির্দেশ মতো কাজ করত।’’
আরও জানা গিয়েছে, ধন কুমার পড়াশোনা থামিয়ে নাগাল্যান্ডে গিয়েছিল প্রশিক্ষণের জন্য। এর পর সে নেপালে গা ঢাকা দেয়। মাঝে মাঝে নেপাল থেকে এসে কেএলও প্রধানের নির্দেশ মতো কাজ করে সে ফের ফিরে যেত। তার কাছ থেকে যে মোবাইল ফোন এবং নথি উদ্ধার হয়েছে তাতে কেএলও প্রধানের সঙ্গে তার যোগাযোগ প্রমাণিত হচ্ছে বলেও পুলিশের দাবি।
অন্য দিকে, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ দুই সশস্ত্র যুবককে আটক করেছে। তাদের কাছে মিলেছে একটি পিস্তল, দু’টি কার্তুজ এবং চারটি ডিটোনেটর। ধৃতেরা উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা।