Congress

নতুন কমিটিতে ঠাঁই হয়নি, রতুয়ার তৃণমূল নেতা ফিরলেন কংগ্রেসে স্ত্রী রইলেন ঘাসফুলেই

আগে কংগ্রেসে ছিলেন মহম্মদ হেসামুদ্দিন। তিনি রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। পরে যোগ দেন তৃণমূলে। রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে হাতশিবিরে যোগ দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রতুয়া শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৩ ১৪:৪৫
Share:

তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ মহম্মদ হেসামুদ্দিনের। — নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের নবগঠিত জেলা বা ব্লক কমিটিতে ঠাঁই হয়নি। এই আবহে দলত্যাগ করলেন মালদহের রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল নেতা মহম্মদ হেসামুদ্দিন। তিনি রতুয়া ১ নম্বর ব্লকে তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি। তবে তাঁর স্ত্রী আলতাফুন নেশার তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তিনি অবশ্য স্বামীর দলত্যাগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

আগে কংগ্রেসে ছিলেন হেসামুদ্দিন। সেই সময় তিনি রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও ছিলেন। পরে যোগ দেন তৃণমূলে। রবিবার রতুয়ার সামসি-ভগবানপুরে কংগ্রেসের যোগদান সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে হাতশিবিরে যোগ দেন হেসামুদ্দিন। হাতশিবিরের দাবি, রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের ১০টি অঞ্চলের কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকও যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। মালদহ তৃণমূলের একাংশের সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হেসামুদ্দিনের সঙ্গে মালদহ জেলার তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি এবং রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। সমরকে ‘মামা’ ডাকেন আব্দুর। তা নিয়ে রবিবার হেসামুদ্দিন কটাক্ষ করেন, ‘‘মামা-ভাগ্নে মিলে জেলাকে শেষ করে দিয়েছে। তাদের উৎখাত করে জেলাকে রক্ষা করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য।’’

এ নিয়ে রহিম বক্সী বলেন, ‘‘রাস্তাঘাটে-হাটেবাজারে বিভিন্ন ভাবে অভিনয় করে মানুষ ওষুধ বিক্রি করে। কিন্তু তাতে সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন বা সলমান খান হওয়া যায় না। দলে থেকে অনেকদিন ধরেই ও দলবিরোধী কাজ করছিল। ও দলত্যাগ করায় দলে তার কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে হাজার হাজার মানুষ নন, ২ থেকে ৩ জন কংগ্রেসে গিয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement