দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
ভয়াবহ দুর্ঘটনা বাগডোগরা-গোঁসাইপুর ‘এশিয়ান হাইওয়ে ২’ সড়কে। বৃহস্পতির সকালের এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন এক পর্যটক। গুরুতর আহত তাঁরই পরিবারের আরও পাঁচ সদস্য। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঁসাইপুর সংলগ্ন এলাকায় আচমকাই বিহার থেকে আসা একটি যাত্রিবাহী বাস হঠাৎই রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায়। ফলে পিছন থেকে আসা একটি ছোট গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে ছোট গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, গাড়ির ভিতরে মহিলা, শিশু-সহ মোট ছ’জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের সকলকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর সময় গুরুতর আহত দু’জনের মধ্যে এক জন মাঝপথেই মারা যান।
মৃত ব্যক্তির নাম ইন্দ্রাশিস চক্রবর্তী। বাড়ি দক্ষিণেশ্বরে। দক্ষিণেশ্বর থেকে সপরিবারে কালিম্পং জেলার চুইখিমে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেখানে তাঁদের একটি বাড়ি রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের ক্ষোভ, পুলিশ এবং অ্যাম্বুল্যান্সকে বার বার ফোন করার পরেও তারা ঠিক সময়ে আসতে পারেনি। অবশেষে স্থানীয়েরাই টোটো করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান। মৃতের বাবা ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দক্ষিণেশ্বর থেকে চুইখিমের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। সড়ক পথেই রওনা দিয়েছিলাম। বাগডোগরা পেরোবার পর গোঁসাইপুর এলাকায় একটি বাস হঠাৎই দাঁড়িয়ে পড়ে। আমাদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের পিছনে ধাক্কা মারে। গাড়িতে চালক মিলিয়ে মোট সাত জন ছিলাম। আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।’’