মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা ‘বড়মা’ বীণাপাণি দেবী প্রয়াত। —ফাইল চিত্র।
শেষপর্যন্ত মতুয়া সমাজের বড়মা বীণাপাণিদেবীকে সাম্মানিক ডিলিট দিতে পারল না কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বড়মা’কে ডিলিট দেওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় প্রয়াত হন বীণাপাণিদেবী। এই অবস্থায় রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে আলোচনা করেন উপাচার্য। রাতের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট সদস্যরা বৈঠকে বসেন, সেখানে ডিলিট সম্মান না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অবশ্য সমাবর্তনের মঞ্চে বড়মা’র মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েেছ।
রাজ্যপাল বলেন, “বড়মার মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করছি। বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডিলিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আচমকা তার মৃত্যুতে আর দেওয়া গেল না।”
সমাবর্তনের মঞ্চ থেকেই এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “বড়মার মৃত্যু অনেক বড় ক্ষতি। তিনি একজন মহিলা সমাজ সংস্কারক।”
তিনি জানান, মরণোত্তর ডিলিট দেওয়ার নিয়ম নেই। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে লেখক ও গবেষক অশ্রুকুমার শিকদারকে সাম্মানিক ডিলিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাতে অনুমতিও দেন রাজ্যপাল। কিন্তু, আচমকা তাঁর মৃত্যু হয়। সে জন্যেই পরে ফের বৈঠক করে বড়মা’কে ডিলিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। উপাচার্য বলেন, “পর পর এমন দুঃখজনক ঘটনায় এবারে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আর ডিলিট দেওয়া গেল না। তবে বড়মার বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করা হবে।”
কিছু দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেখা করেন বড়মা’র সঙ্গে দেখা করেন। তার পরেই বড়মাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সাম্মানিক ডিলিট দেওয়া নিয়ে গুঞ্জন ওঠে রাজনৈতিক মহলে। বামেদের তরফে অভিযোগ করা হয়, জাতিভিত্তিক রাজনীতিকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল ও বিজেপি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বড়মা একজন সমাজ সংস্কারক। তাঁকে নিয়ে রাজনীতির কোনও জায়গা নেই।”
রাজ্যপাল জানান, পরিকাঠামো, পড়াশোনা এবং গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকায় তিনি খুশি।