যুবকের উপরে হামলার ঘটনার দু’দিন পরেও রহস্য ভেদ করতে পারল না পুলিশ। আলিপুরদুয়ারের পশ্চিম কাঠাবাড়ি গ্রামের দীপককুমার বর্মনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতারও হয়নি। কী কারণে কারা তাঁর উপর গুলি চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট করতে পারেনি পুলিশ। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘গুলিবিদ্ধ যুবক এখনও চিকিৎসাধীন। তিনি কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ না করা পর্যন্ত আসল ঘটনা কী সেটা জানতে পারছি না। তবে আমরা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছি।’’
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ন’টা নাগাদ পলাশবাড়ি থেকে মোটরবাইকে পশ্চিম কাঁঠালবাড়ি গ্রামে ফিরছিলেন দীপক বর্মন নামে ওই যুবক। সুদের ব্যবসা ছাড়াও ট্রাক্টর ভাড়া দেওয়ার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত দীপকবাবু। তাঁর বাড়ি ফেরার সময় পাঁচটি মোটরবাইক তাঁর পিছু নেয়। অপরিচিত দুই দুষ্কৃতী দুটি মোটরবাইকে সামনে এসে তাঁর পথ আটকায়। পকেট থেকে পিস্তল বের করে গুলি চালায় এক জন। দীপকবাবুর স্ত্রী পম্পি বর্মন এবং দাদা বিকাশ বর্মন জানান, “যারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের পুলিশ দ্রুত গ্রেফতার করুক।’’
ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় আলিপুরদুয়ার শহরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর আগে হাসপাতালে দুই দুষ্কৃতীদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি চৌপথিতেও প্রকাশ্যে এক দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ঘুরতে দেখা যায়। ফের এমন ঘটনায় বাসিন্দারা রীতিমত আতঙ্কিত। আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন আরএসপি বিধায়ক নির্মল দাসের ক্ষোভ, ‘‘শহর দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। বাইরে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকছে। না হলে দুষ্কৃতীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র আসছে কী ভাবে?’’ আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু জানান, ‘‘পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’’