ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দলটি দু’দিন ধরে ইসলামপুরে থাকলেও বুধবারও তাঁদের কেউ দাড়িভিট যাননি। কবে এলাকায় যাবেন, তা নিয়ে দাড়িভিটে আলোচনা শুরু হয়েছে। এমনকি, এলাকায় প্রতিনিধিরা যেতে পারেন বলে গুঞ্জন শুরু হয় এ দিনও। যদিও ইসলামপুরে পূর্ত দফতরের বাংলোতেই তাঁরা ছিলেন এ দিন।
বুধবার বিকেলে ইসলামপুরে পৌঁছন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিক ছায়া শর্মা। ইসলামপুরের সার্কিট হাউজে ওঠেন। এর মধ্যে বাকি প্রতিনিধিরা দু’দিন ধরে কতটা কাজ এগিয়েছেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়। প্রশাসন সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, দাড়িভিটে না গেলেও মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে তার বয়ান রেকর্ড করছেন মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। পূর্ত দফতরের বাংলোতেই তাঁরা সকলের সঙ্গে দেখা করছেন।
দাড়িভিটের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ২০ সেপ্টেম্বর গুলিতে প্রাণ যায় ওই স্কুলের দুই প্রাক্তন ছাত্রের। তার পর থেকে দাড়িভিট হাইস্কুল বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে সোমবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলটি আসে। বাগডোগরায় তাঁদের সময়মতো গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও পরে মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা জানান, রাজ্য প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে সহায়তাই করেছে। মহকুমাশাসক মণীশ মিশ্রও জানান, ওই প্রতিনিধিদলকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হচ্ছে। ভাষাগত সমস্যা মেটাতে এক কর্মীকেও তাঁদের সঙ্গে রাখা হয়েছে।