টয় ট্রেনে চালু হল নতুন জয়রাইড

সুকনায় রেল মিউজিয়াম দেখে পাহাড়ি পথে ট্রেন যাবে রংটং। ফের সেখানে থেকে ফেরত আসবে ট্রেন। যাত্রীদের জন্য রেলের কামরায় থাকছে আইআরসিটিসির খাবারের কাউন্টারও। শুক্রবার সেই জয়রাইডে পর্যটন ব্যবসায়ীদেরও আনলেন রেলকর্তারা।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:২০
Share:

সফরে: টয় ট্রেনের কামরার ভিতরে যাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র

শীতের বিকেলে স্টিম ইঞ্জিনের হুইসেল শুনে পাহাড়ি পথে টয়ট্রেন চড়া। এর টানেই বারেবারে দার্জিলিংয়ে আসেন দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা। সম্প্রতি সেই টয়ট্রেনেরই নতুন জয়রাইড শুরু করেছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইভিনিং জঙ্গল সাফারি’।

Advertisement

সুকনায় রেল মিউজিয়াম দেখে পাহাড়ি পথে ট্রেন যাবে রংটং। ফের সেখানে থেকে ফেরত আসবে ট্রেন। যাত্রীদের জন্য রেলের কামরায় থাকছে আইআরসিটিসির খাবারের কাউন্টারও। শুক্রবার সেই জয়রাইডে পর্যটন ব্যবসায়ীদেরও আনলেন রেলকর্তারা। ছিলেন কিছু যাত্রীও। এই পরিষেবাটিকে কী ভাবে জনপ্রিয় করা যায় তার জন্য তাঁদের পরামর্শও নেন।

এ দিনের সফরের পরে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের (এইচএইচটিডিএন) কো-অর্ডিনেটর তন্ময় গোস্বামী বলেন, ‘‘যে ভাড়া এই রাইডে রয়েছে, তাতে খাবারের বৈচিত্র্য আরও একটু থাকা দরকার। রংটংয়ে যে সময় যাত্রীরা কাটাচ্ছেন সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে ভাল।’’ রাইডের ব্যাপক প্রচার প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। তাহলে কি টয়ট্রেনের লম্বা যাত্রার দিন ফুরোচ্ছে? এরকমই মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ। এ দিন তিনটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা যান। ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সৌম্য ঘোষ বলেন, ‘‘অনেক সময় প্যাকেজ ট্যুরে এসে সন্ধেবেলা শিলিগুড়িতে শপিং করা ছাড়া পর্যটকদের কাজ থাকে না। এই পরিষেবা তাঁদের পছন্দ হতে পারে।’’

Advertisement

এনজেপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয়ট্রেন পরিষেবা সেরকমভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে না। তার তুলনায় ঘুম থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয়ট্রেন ভ্রমণ বেশ জনপ্রিয় হয়েছে বলে দাবি রেলের পদস্থ আধিকারিকদের। তাই সমতল থেকে রংটং পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটারের এই জয়রাইডে যাত্রী বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে পরিষেবা চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে নতুন রাইড নিয়ে ব্যাপক প্রচার দরকার বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবারও যাত্রী না থাকার জন্য সুকনা থেকে ঘুরে আসে ট্রেনটি। এ দিনের পুরো ট্রেনে ব্যবসায়ী ছাড়া মাত্র ৭ জন পর্যটক রংটং যান।

এইচএইচটিডিএন-এর যুগ্ম সম্পাদক তাপসসাধণ রায় বলেন, ‘‘অল্প সময়ে অল্প দূরত্বে টয়ট্রেন রাইড জনপ্রিয়। রেল কর্তৃপক্ষ যদি ডুয়ার্সের দিকেও এরকম দু’একটি পরিষেবা চালু করেন তাহলে আরও ভাল হয়।’’ ব্যবসায়ীদের পরামর্শ বিবেচনা করে দেখা হবে বলে জানান উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এডিআরএম পার্থপ্রতিম রায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement