বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সংগঠন সাজাতে শুরু করেছে সিপিএম। দলের শাখা সংগঠনগুলির সম্মেলনের মাধ্যমে সক্রিয় কর্মীদের তুলে আনার কাজ করছেন দলীয় নেতৃত্ব। নতুন কর্মীদের নানা দায়িত্বে আনার পরিকল্পনাও নিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় সম্মেলনের কাজ শেষ হয়েছে। জুলাই ও অগস্ট ধরে গোটা জেলায় সম্মেলন চলবে। দলীয় সূত্রের খবর, অগস্টের শেষের দিকে যুব, ছাত্র ও কৃষক সংগঠনের জেলা সম্মেলন হওয়ার কথা। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “যুব, ছাত্র ও কৃষক সংগঠনের সম্মেলন শুরু হয়েছে। নতুন করে কমিটি গঠন হচ্ছে। সেখানে নতুন সক্রিয় কর্মীয় কর্মীদের অনেকেই দায়িত্ব পাচ্ছেন। সংগঠন আরও শক্তিশালী হচ্ছে।” সম্পাদকমণ্ডলীর আরেক সদস্য মহানন্দ সাহাও বলেন, “সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব উঠে এসেছে সর্বত্র।”
গত বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারে কার্যত ভরাডুবি হয় সিপিএমের। একটিও আসন তাঁরা নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি। ফরওয়ার্ড ব্লক যেখানে দখলে থাকা চারটি আসন ধরে রাখতে সমর্থ হয়। সেখানে সিপিএমের হাত থেকে চারটি আসন ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। লোকসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের হাল আরও খারাপ হয়। কোণঠাসা হয়ে পড়ে সিপিএম। গ্রামাঞ্চলের দিকে মিটিং, মিছিল করতে গিয়েও বহু জায়গায় পিছিয়ে আসেন তাঁরা। সিপিএম নেতৃত্বর দাবি, এই খারাপ সময়েও বহু এলাকাতে কিছু তরুণ ও যুবক নতুন করে সংগঠনের কাজ শুরু করেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওই নতুনদেরই দলে সামনে আনতে চাইছে দল।
রবিবার ডিওয়াইএফের ঘুঘুমারি লোকাল কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মলেনে রূপক দেবকে সম্পাদক করে ১৭ জনের কমিটি তৈরি করা হয়। মাথাভাঙা- ১ নম্বর ব্লকের কৃষক সভার সম্মেলন হয়েছে। সেখানে উনিশবিশা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বজিৎ বর্মনকে সম্পাদক করে ২৬ জনের কমিটি করা হয়।