প্রতীকী ছবি।
আরও ১৭টি নতুন বাস চালু করল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। শুক্রবার কোচবিহারে পুরনো বাসস্ট্যান্ডে আনুষ্ঠানিক ভাবে তার উদ্বোধন করেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান মিহির গোস্বামী।
নিগম সূত্রের খবর, ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে রাজ্য সরকার উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের জন্য ১৪৬টি নতুন বাসের বরাত দিয়েছে। এর মধ্যে নিগমের হাতে এসেছে ৭৮টি। তা থেকে ১৯টি বাস আগেই চালু করা হয়েছে। চলতি মাসে বাকি ৫৯টি নতুন বাস নিগমের হাত এসেছে। সেগুলি ইতিমধ্যেই একাধিক ডিভিশনে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে শুক্রবার কোচবিহার ডিভিশনের ১৭টি বাসের উদ্বোধন হয়। ওই বাসের জন্য সাড়ে ৪ কোটির বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে বলে নিগম সূত্রে
খবর। জানানো হয়েছে, ওই বাস শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কালিয়াগঞ্জ, ডোমকল, তুফানগঞ্জ, জিয়াগঞ্জ, জলপাইগুড়ি, কান্দি এবং জঙ্গিপুর-সহ একাধিক রুটে চলাচল করবে। বাকি নতুন বাসের মধ্যে রায়গঞ্জে ১৩টি এবং বহরমপুরে ২৭টি ও শিলিগুড়ি ডিভিশনে ২টি বাস দেওয়া হয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে ওই ডিপোগুলি থেকে বাকি বাস চালু করা হবে বলে নিগম সূত্রের খবর। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাসের সংখ্যা দাঁড়াল ৯০২টি।
নিগমের চেয়ারম্যান মিহিরবাবু বলেন, “এক সময়ে বাসের গড় বয়স ছিল দশ থেকে বারো বছর। রাজ্য সরকারের নির্দেশ ক্রমে ওই বয়সের বাস রাস্তা থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বাসের গড় বয়সও কমিয়ে আনা হয়েছে।”
নতুন বাসের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কম, তা নিগমের হাতে আসায় মাসিক আয় আরও বেড়ে যাবে বলেই আশা প্রকাশ করেন মিহিরবাবু।
তিনি জানান, ২০১০-১১ সালে নিগমের মাসিক আয় ছিল সাড়ে ৫ কোটি টাকা, খরচ ছিল ১৯ কোটি টাকা। ২০১১-১২ সালে তৃণমূল বোর্ড ক্ষমতা আসার পরে আয় বাড়ে। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে তা ১০ কোটিতে গিয়ে দাঁড়ায়। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে মিহিরবাবুকে নিগমের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত আড়াই বছরে কোনও কোনও মাসে আয় ১৬ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে হাল ফিরেছে নিগমের। এটা কারও একার কৃতিত্ব নয়, কর্মীদের জন্য এটা হয়েছে।’’
এরই মধ্যে অবশ্য বামনহাট, গীতালদহ, গোসানিমারি থেকে শুরু করে তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা ও মেখলিগঞ্জের একাধিক পকেট রুটে নিগমের বাস নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই বিষয়ে নিগম কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন।