উদ্যোগ: তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে দুগ্ধপানের ঘর। নিজস্ব চিত্র।
যাত্রী পরিষেবায় এ বার মাতৃদুগ্ধ পানের জন্য আলাদা ঘর তৈরি করল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। শিলিগুড়ি তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসের টিকিট কাউন্টারের পাশে এই ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোলের সন্তান নিয়ে মায়েদের অনেকেই বাসে যাতায়াত করেন। অনেক সময় টার্মিনাসে বসে শিশুদের মাতৃদুদ্ধ পান করাতে দেখা যায়। তা যেমন দৃষ্টিকটূ, তেমনই মায়েরা নানা সমস্যায় পড়েন। কখনও বিশ্রামের সঠিক জায়গা না পেয়ে শিশুরা কাঁদতে থাকে। সে কথা মাথায় রেখে এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সেখানে পানীয় জলের ব্যবস্থাও থাকছে। বিভিন্ন খেলনাও রাখা হবে বলে নিগম সূত্রে খবর। তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে কাঠমান্ডু রুটে বাস চালু হয়েছে। কলকাতা-শিলিগুড়ি রুটেও বাস চলছে। ঢাকা-শিলিগুড়ি বাস পরিষেবা চালুর ঘোষণাও করেছেন পরিবহণমন্ত্রী। সিকিম এবং এ রাজ্যের সাঙ্গে পরিবহণ দফতরের চুক্তি হয়েছে। তাতে আরও বেশি করে দুই রাজ্যের মধ্যে গাড়ি চলাচল বাড়বে। সেই তুলনায় তেনজিং নোরগে বাস স্ট্যান্ডে বসার ব্যবস্থা যথেষ্ট নয় বসেই দীর্ঘদিনের অভিযোগ যাত্রীদের। যাত্রীদের জন্য ডিলাক্স ঘর থাকলেও তাতে ২০ টাকা করে নেওয়া হয়। অনেক সময় সঠিক পরিষেবাও মেলে না বলে অভিযোগ।
শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসা। পর্যটকদের অনেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে বিশ্রাম নিতে চান। টার্মিনাসে কিছু বসার জায়গা থাকলেও মায়েদের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রেও এই মাতৃদুগ্ধ পানের ঘরটি কাজে লাগবে।পাশেই কাঠমান্ডু যাত্রী প্রতিক্ষায় চালু করা হয়েছে। ঘরটি ছোট হলেও যাত্রীদের অনেকটা কাজে আসছে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।
সংস্থার শিলিগুড়ি ডিভিশনাল ম্যানেজার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আপাতত মাতৃদুগ্ধ পানের ঘরে কয়েকটি আসন রাখা হয়েছে। সেখানে বিনামূল্যে মায়েরা শিশুদের নিয়ে বিশ্রাম নিতে পারবেন। পরে আরও আসন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হতে পারে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যাত্রী পরিষেবার মান আরও উন্নত করতে তাঁরা নজর দিচ্ছেন। যাত্রীদের প্রথম পছন্দ যাতে তেনজিং নোরগের এনবিএসটিসির বাস হয়, সেই দিকগুলিতে নজর দেওয়া হচ্ছে।