প্রতীকী ছবি।
কর্মী ছাঁটাই উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমে। তাদের ৩৫০ জন চুক্তি ভিত্তিক চালক এবং অন্যান্য কাজের সঙ্গে জড়িত থাকা কর্মীকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। করোনা প্রকোপে কাজের অভাব দেখা দিচ্ছে। সংকটে দিন কাটছে অনেকের। এই পরিস্থিতিতে এনবিএসটিসিতে কাজ থেকে বাদ দেওয়া নিয়েছে উঠছে প্রশ্ন।
নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ডিপোর বাস চালাতে এই কর্মীদের নেওয়া হয়েছিল। সেই কর্মীদের দাবি, অন্য চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের মতো তাঁদেরকেও নবীকরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চার মাসের পরেই তাঁদের না জানিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছে। এনবিএসটিসির কাজে যোগ দেওয়ার আগে তাঁদের অনেকে বেসরকারি বাস, ট্রাক চালাতেন। কাজ থেকে বাদ পড়ার ফলে পুরনো সেই কাজও পাচ্ছেন না। স্বাভাবিক ভাবে অথৈইজলে সেই কর্মীরা। একজন জানান, তাঁরা আশায় রয়েছেন রাজ্য সরকার তাঁদের কথা ভেবে পাশে থাকবে।
এনবিএসটিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল আগরওয়াল জানান, নির্বাচনে অতিরিক্ত বাস চালানোর জন্য এজেন্সির মাধ্যমে তাদের নেওয়া হয়েছিল। এজেন্সিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল আপাতত চার মাসের জন্য নেওয়া হবে। কাজ শেষ হলে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এজেন্সি তাদের অন্য কোনও আশ্বাস দিলে সেটা তাদের ব্যপার। তিনি বলেন, ‘‘কর্মী সংখ্যা কমার ফলে সমস্ত বাস রুটে নামানো যাচ্ছে না। নতুন করে যাতে বাদ পড়া কর্মীদের নেওয়া হয় তা পদস্থ কর্তাদের জানানো হয়েছে।’’
ডিজেলের দাম চড়া। বেসরকারি বাস বন্ধে যাত্রী দূর্ভোগ চরমে। রাজ্য সরকার নিগমের সমস্ত বাস রুটে নামাতে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু চালক, কন্ডাক্টর কম থাকার কারণে সমস্ত বাস নামাতে কর্তৃপক্ষ সমস্যায় পড়ছেন বলে দাবি।
নর্থ বেঙ্গল স্টেট টান্সপোর্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের দাবি, তারা প্রথম থেকে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ বন্ধের দাবি তুলেছেন। তাতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে অনেকবার। ওই সংস্থা এনবিএসটিসির লোগো ব্যবহার করছে। সাধারণ ঘরের ছেলেরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সংগঠনের শিলিগুড়ির ডিভিশনাল সম্পাদক তুফান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এনবিএসটিসির লোগো ব্যবহার করে প্রতারণা হলে সরকার দায় এড়াতে পারে না। তদন্ত করে কঠো ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’’
আইএনটিটিইউসির এনবিএসটিসির নেতা দিলীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘অনিয়ম হলে ব্যবস্থা হবে। পদস্থ কর্তাদের জানাব।’’
সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়েছে। নবীকরণের জন্য আবেদন করা হয়েছে এনবিএসটিসির কাছে।’’