পাহাড়ের বদলে ‘সবুজের পথে হাতছানি’ পেতে জঙ্গল ভ্রমণ৷ তাতেই মিলল পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া৷ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের এই প্যাকেজে হাতছানিতে জলপাইগুড়ি থেকে জলদাপাড়ায় ভ্রমণ শুরু হতেই পর্যটকদের ভিড়ে বাস ভরে যাচ্ছে৷ স্বাভাবিকভাবেই তাতে খুশি সংস্থার কর্তা থেকে শুরু করে কর্মীরা সকলেই৷
বেশ কয়েক বছর থেকেই উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বিভিন্ন ডিপো থেকে পর্যটকদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের ব্যবস্থা চালু রয়েছে৷ জলপাইগুড়ি ডিপো থেকেও পর্যটকদের নিয়ে নানা জায়গায় ভ্রমণ চলছিল৷ এর মধ্যে ছিল ঝালং, বিন্দু, লাভা– লোলেগাঁও, মিরিক, রাজাভাতখাওয়া বা জয়ন্তীর মত জায়গা৷ কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় এর মধ্যে পাহাড়ি এলাকাতেই ভ্রমণ বেশি হচ্ছিল৷ কিন্তু পাহাড়ে গোলমাল-সহ আরও কিছু কারণে মে মাসের পর থেকে সংস্থার জলপাইগুড়ি ডিপো থেকে এই প্যাকেজটি বন্ধ হয়ে যায়৷
প্রায় ছ’মাস তা বন্ধ থাকার পর ফের তা চালু করতে উদ্যোগী হন কর্তারা৷ কিন্তু পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি না হলেও এখনই সেখানে ভ্রমণ চালু করার ব্যাপারে পক্ষপাতি ছিলেন না সংস্থার কোনও কর্তাই৷ এই অবস্থায় বিকল্প হিসাবে তাঁদের মাথায় আসে জলদাপাড়া ও ভুটানের ফুন্টশিলিং-এর নাম৷ এই দুই জায়গায় ভ্রমণে যেতে আগ্রহীদের পেতে শুরু হয় মাইকে প্রচারও৷ সংস্থার জলপাইগুড়ি ডিপোর অফিসার ইনচার্জ স্বপন সেন বলেন, ‘‘জলদাপাড়া ও ফুন্টশিলিং ভ্রমণে পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ করা যাচ্ছে৷ আমরা সবাই খুশি৷’’
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, নভেম্বরের শেষের দিকে জলদাপাড়া ও ফুন্টশিলিংয়ে একরাত ও দু’দিনের প্রথম এই ভ্রমণটি হয়৷ বাসের সব আসনই ভর্তি ছিল৷ ডিসেম্বরের শুরুতেই আবার এই ভ্রমণেও বাসের সব আসন ভর্তি হয়ে যায়৷ সংস্থার কর্তারা জানিয়েছেন, এই ভ্রমণে পর্যটকদের প্রথমে জটিলেশ্বর মন্দির ঘুরিয়ে জলদাপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে হয় কার সাফারি৷ রাতে জলদাপাড়াতে থাকার পর পরদিন সকালে জয়গাঁ হয়ে ফুন্টশিলিংয়ের নানা গুম্ফাতেও পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে জল্পেশ মন্দির ঘুরে রাতে জলপাইগুড়িতে ফিরে আসে পর্যটক বোঝাই বাস৷ প্রথম দু’টি ভ্রমণে ব্যাপক সাড়া মেলায় এ মাসের শেষের দিকে ফের একবার জলদাপাড়া ও ফুন্টশিলিং ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে চায় নিগম৷
সংস্থার কর্তারা জানিয়েছেন, আপাত কয়েক মাস এই ভ্রমণটি পরীক্ষামূলকভাবে চালাবেন তাঁরা৷ একইরকম সাড়া মিলতে থাকলে এই ভ্রমণের সূচীও বারবার করার চেষ্টা হবে৷ জলপাইগুড়ির বাইরে অন্য জায়গাতেও বিজ্ঞাপন দিয়েও ভ্রমণের তথ্য জানানো হবে৷