আবার শুরু হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াত। —নিজস্ব চিত্র।
ন’দিন পরে আবার খুলে গেল বাংলা-সিকিম ‘লাইফলাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। মঙ্গলবার থেকে সমস্ত রকম গাড়ির জন্য খুলে দেওয়া হল ওই রাস্তা। নির্দিষ্ট করে সময়েরও কোনও বাধানিষেধ নেই বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে নিরাপত্তার জন্য আট টনের উপর ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কথা জানান কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ্যম টি। জাতীয় সড়ক খোলার ফলে হাঁপ ছেড়েছেন পর্যটন এবং পরিবহণ ব্যবসায়ীরা।
ধস এবং তিস্তার জলোচ্ছ্বাসের কারণে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ন’বার জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়েছে। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেছে পূর্ত দফতর। তার ফলে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে আবার যান চলাচল শুরু হল। তবে জেলা প্রশাসন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং পূর্ত দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না-হয় সে জন্য এখন থেকে জাতীয় সড়ক সংক্রান্ত যে কোনও নির্দেশিকা জারি করবে পূর্ত দফতর। এ ছাড়া জেলার সমস্ত রাজ্য সড়ক, মূল সড়ক এবং স্থানীয় সড়কের ক্ষেত্রে নির্দেশিকা জারি করবে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ্যম বলেন, ‘‘১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সমস্ত রকম যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও নদীবাঁধের কাজ চলছে। সে কারণে আট টনের উপর যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। তা নিশ্চিত করতে পুলিশ এবং পরিবহণ দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, সামনেই পুজোর ছুটি রয়েছে। পর্যটনের ভরা মরসুম। সে জন্য দ্রুত জাতীয় সড়ক খোলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আগে সেলফিদাড়া, বড়ঝোরা, বিড়িকদাড়া-সহ দু’ থেকে তিনটি স্পর্শকাতর জায়গা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ধস এবং তিস্তা নদীর জলস্রোতের কারণে ৩০ থেকে ৩৫টি নতুন স্পর্শকাতর জায়গা চিহ্নিত হয়েছে। সেগুলোরও কাজ চলছে। জাতীয় সড়ক মেরামত এবং সংস্কারের জন্য একটি স্বল্পমেয়াদি এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পূর্ত দফতর, জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ জন্য কাজ করবে।