হোয়াটসঅ্যাপে জ্বর, মশার খবর নেবে পুরসভা

বাড়ির সামনে কি জল জমে রয়েছে? পাড়ার নর্দমা কি মশার আঁতুড়ঘরের চেহারা নিয়েছে? কিংবা এলাকায় কেউ কি বেশ কয়েকদিন জ্বরে ভুগছেন? এমনই খুঁটিনাটি তথ্য আদানপ্রদানের জন্য এ বার পুরসভাগুলিকে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা চালুর নির্দেশ দিল প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৮ ০১:৫২
Share:

সতর্ক: মশা তাড়াতে ধোঁয়া কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র

বাড়ির সামনে কি জল জমে রয়েছে? পাড়ার নর্দমা কি মশার আঁতুড়ঘরের চেহারা নিয়েছে? কিংবা এলাকায় কেউ কি বেশ কয়েকদিন জ্বরে ভুগছেন? এমনই খুঁটিনাটি তথ্য আদানপ্রদানের জন্য এ বার পুরসভাগুলিকে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা চালুর নির্দেশ দিল প্রশাসন।

Advertisement

মার্চের মধ্যেই জেলার সব পুরসভাকে একটি নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ চালুর কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে তুফানগঞ্জ পুরসভার তরফে ওই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। অভিযোগ জানানোর ওই নম্বর ছড়িয়ে দিতে প্রচারেও জোর দেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “মশাবাহিত রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা রুখতে সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুর দফতরের নির্দেশে জেলার পুরসভাগুলিকে হোয়াটসঅ্যাপ চালু করে বাসিন্দাদের মধ্যে নম্বর প্রচার করতে বলা হয়েছে।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে কোচবিহারে মশাবাহিত রোগ সংক্রমণের প্রবণতা রয়েছে। গত বছরও বেশ কয়েকজনের দেহে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। মাধ্যমিকের সময় এক পরীক্ষার্থী জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় উদ্বেগ বেড়ে যায়। তার ওপর শীত কমতেই মশার উপদ্রব মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। বর্ষার জল জমলে মশার উৎপাত আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্তাদের চিন্তা আরও বেড়েছে। সম্প্রতি পুরসভাগুলিকে নিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানেও বাসিন্দাদের সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ে বাড়তি জোর দেওয়া হয়। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘বাসিন্দারা নানা সমস্যার কথা সহজে জানানোর সুযোগ পেলে পুরসভা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে। সুবিধে হবে।’’

Advertisement

তুফানগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্ত বর্মা জানিয়েছেন, প্রশাসনের নির্দেশ মতো ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করা হয়েছে। ব্যানার, বোর্ড করে বাসিন্দাদের কাছে নম্বর ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ওই নম্বরে আসা অভিযোগ নথিভূক্ত করে খতিয়ে দেখার জন্য এক আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের কাছ থেকে তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার সুবিধে হবে। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ বলেন, “মশা মারতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অভিযান চলছে। খুব শীঘ্র হোয়াটসঅ্যাপ চালু করা হবে।” দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ বলেন, “অভিযোগ জানানোর জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ রয়েছে। সেটিই ওই কাজে লাগানো হবে। তবে সব ওয়ার্ডে ব্যাটারি চালিত মেশিন দিয়ে মশা মারতে স্প্রে করা হচ্ছে। কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে শহরে নজরদারিও করছেন।”

বাসিন্দাদের একাংশের অবশ্য অভিযোগ, বাস্তবে মশার উপদ্রব রয়েইছে। সন্ধের পর সমস্যা বাড়ছে। মশার তেল, ধূপকাঠি, ব্যাটারি চালিত বিশেষ ব্যাট ব্যবহার করেও সে ভাবে লাভ হচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement