স্বাক্ষর: মউ চুক্তি। নিজস্ব চিত্র
গজলডোবা প্রকল্পের পরিবেশ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র মিলে গিয়েছে বলে দাবি করলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। আগামী ২৮ এপ্রিল গ্রিন ট্রাইবুনালে মামলার শুনানি। সেখানে সরকার পরিবেশ, বন দফতর ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দিষ্ট বোর্ডের ওই ছাড়পত্রের নথি হলফনামা-সহ জমা করতে চলেছে। মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়িতে ওই মেগা ট্যুরিজম প্রকল্পের একটি ‘থ্রি স্টার’ রিসর্টের মউ চুক্তিও স্বাক্ষর হয়।
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই বিভিন্ন প্রান্তে পর্যটন হাব গড়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিন বছরের মাথায় বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চল, তিস্তা ব্যারাজ লাগোয়া ২০৮ একর জমিতে পর্যটন কেন্দ্রের জন্য চিহ্নিত হয়। ১০০ কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা, বিদ্যুতের সাব স্টেশন, আলো, জল-সহ পরিকাঠামোর কাজ হয়। প্রকল্পের নাম ‘ভোরের আলো’ দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে জমি নেওয়ার শর্ত দেখে শিল্পপতিরা আগ্রহ দেখাননি। তা বদলে জমি ৯২ বছরের লিজে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিভিন্ন সংস্থা এগোয়।
দু’টি বড় হসপিটালিটি সংস্থা (স্টার্লিং ও সুমিত গ্রুপ) টেন্ডারের মাধ্যমে জমি নেয়। আর একটি উত্তরবঙ্গের সংস্থাও (শিল-গ্রুপ) হোটেলের জন্য জমি নিয়ে নেয়। কিন্তু গত বছর পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের কাজ থমকে যায়। বন দফতরে প্রথমে হাতির ওই এলাকায় গতিবিধি রয়েছে বলে রিপোর্ট দিলেও পরে কমিটি গঠন করে ছাড়পত্র দিয়েছে। শেষে পরিবেশে প্রকল্পের প্রভাব নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
এ দিন পিসিএম গ্রুপ ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগে ২০টি কটেজ-রিসর্ট করার জন্য ৬ একর জমি নিল। পিসিএম গ্রুপের আমেরিকা-সহ ১২টি দেশে নানা ব্যবসা রয়েছে। এটাই তাদের প্রথম পর্যটন প্রকল্প। পর্যটনমন্ত্রী জানান, মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে সমস্ত দফতরের সচিবদের নিয়ে প্রতি মাসে প্রকল্পের অগ্রগতির বৈঠক হচ্ছে। আগামী এক বছরে ৪টি রিসর্ট ছাড়াও পর্যটন দফতরের অতিথি নিবাস, রেস্তোরাঁ, যুব আবাস ইত্যাদি হচ্ছে। তিস্তায় বোটিং, জঙ্গলে হাতি ও কার সাফারির ব্যবস্থা থাকবে।
পিসিএম গ্রুপের চেয়ারম্যান কমল মিত্তাল বলেন, ‘‘জার্মানিতে থাকার সময় মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী আমাদের বিনিয়োগের কথা বলেন। কানাডা ও সিঙ্গাপুরের স্থপতিরা নকশা তৈরি করছেন। এক বছর প্রথম পর্যায় শেষ হবে।’’