প্রতীকী ছবি
খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। দু’দিনেই দু’জেলায় আক্রান্ত হলেন দুই শতাধিক করে বাসিন্দা। এলাকাবাসী দুষছেন প্রশাসনের তৎপরতার অভাবকেই।
বালুরঘাট
একদিনে রেকর্ড সংক্রমণ হল দক্ষিণ দিনাজপুরে। এরই সঙ্গে বালুরঘাটে একজন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ৮৮ জন করোনায় আক্রান্তের পরে রবিবার নতুন করে জেলায় আক্রান্ত হন আরও ১৭৯ জন। ফলে গত ৪৮ ঘণ্টায় জেলায় আক্রান্ত হলেন ২৬৭ জন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শনিবার রাতে বালুরঘাট কোভিড হাসপাতালে চিকিসাধীন ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জেলায় রেকর্ড সংক্রমণের পিছনে সংক্রমিতদের ‘কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে’র অভাবকেই দুষছেন অনেকে। তার উপরে আনলক ১ পর্বে সামাজিক দূরত্ববিধি না মেনে বাজারঘাটে ভিড় করে কেনাকাটা ও মেলামেশাও দায়ী বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ দিন তপন ব্লকের লস্করহাট এলাকায় একসঙ্গে ৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ওই এলাকায় ধারাবাহিক টেস্ট শুরু হতেই এত পরিমাণে সংক্রমণের হদিশ মিলল বলে জানা গিয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই উপসর্গহীন।
মালদহ
মাত্র দু’দিনে মালদহে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২২৪ জন। এর মধ্যে শুক্রবার ১১৬ জন এবং শনিবার ১০৮ জনের পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে।
বাসিন্দাদের দাবি, যে দিন লকডাউন থাকছে সেদিন অনেকে বিধি মানলেও অন্য দিনগুলিতে রাস্তাঘাটে ভিড় উপচে পড়ছে। অনেকেই মাস্ক ছাড়া বেরিয়ে পড়ছেন, সামাজিক দূরত্বও মানছেন না বহু বাসিন্দাই। তাঁদের অভিযোগ, লকডাউনের দিন সকাল থেকে পুলিশ রাস্তায় নামলেও অন্য দিনগুলিতে আর পুলিশের দেখা মেলে না। এই পুরো বিষয়টিই একটি বড় অংশের বাসিন্দার সচেতনতার অভাবকেই ইঙ্গিত করছে, বলছেন বহু বাসিন্দাই। আর এ জন্যই আরও বেশি করে সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর দরকার, দাবি তাঁদের। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, সংক্রমণ আগেও ছিল, তবে এখন লালারসের নমুনা সংগ্রহ এবং অ্যান্টিজেন টেস্ট বেশি হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু আক্রান্তের গড় হিসেব আগের মতোই আছে। এই দু’দিনের পর জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৮৯ জন। তবে, আশার আলো এটাই যে এ পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ১৪৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)