আটক: মঙ্গলবার হান্টাপাড়া চা বাগান থেকে আবার একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়েছে। নিজস্ব চিত্র
মানুষখেকো কি একাধিক? এমনই সন্দেহ দানা বাঁধছে বন কর্তাদের মনে। এর মধ্যে মঙ্গলবার মাদারিহাটের হান্টাপাড়া চা বাগান থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়েছে।
দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে ধরা পড়া চিতাবাঘগুলির আচরণ দেখে দু’টিকে ‘মানুষখেকো’ বলে সন্দেহ করছেন বন দফতরের কর্তারা। আপাতত তাই ওই দু’টি চিতাবাঘকে পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে অন্য কোথাও না পাঠানোর সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছেন তাঁরা।
চিতাবাঘ-মানুষ সংঘাত ঠেকাতে বিভিন্ন চা বাগানে খাঁচা পাততে শুরু করেন বনকর্মীরা। তারপর থেকে একের পর-এক চিতাবাঘ ফাঁদে পড়তে শুরু করে। ধরা পড়া চিতাবাঘগুলোকে ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে রেখে সারাক্ষণ তাদের উপর নজরদারি চালানো হয় ‘মানুষখেকো’র খোঁজে।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি ও ৩ ফেব্রুয়ারি ধুমচিপাড়ায় বন্দি হওয়া পুরুষ চিতাবাঘ ও গ্যারগেন্দায় ধরা পড়া স্ত্রী চিতাবাঘ এই দু’টিকেই মানুষখেকো হিসেবে সন্দেহ করছেন বন দফতরের কর্তারা।
যদিও দফতর সূত্রের খবর, মানুষখেকোকে চিহ্নিত করতে সন্দেহের তালিকায় থাকা চিতাবাঘগুলির পায়ের ছাপ মিলিয়ে দেখার কথা ভেবেছিলেন কর্তারা। কিন্তু চিতাবাঘের আক্রমণে মানুষের মৃত্যু কিংবা জখম হওয়া এলাকায় মানুষের ভিড় এতটাই বেড়ে যায় যে, কোন জায়গাতেই সে অর্থে চিতাবাঘের পায়ের ছাপ খুঁজে পাননি বনকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে কী দেখে তিনটি চিতাবাঘের উপর বেশি সন্দেহ করছেন বন কর্তারা? জলদাপাড়ার ডিএফও কুমার বিমল বলেন, “মূলত ধরা পড়ার পর নিয়মিত আচরণের উপর নজর রেখেই ওই দু’টি চিতাবাঘকে ঘিরে সন্দেহ দানা বাঁধছে। সে জন্যই ওই দু’টি চিতাবাঘকে আপাতত দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রেই রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷”
মঙ্গলবার হান্টাপাড়া চা বাগান থেকে পূর্ণবয়স্ক একটি স্ত্রী চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়েছে। লঙ্কাপাড়ার রেঞ্জ অফিসার বিশ্বজিৎ বিষই জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে ওই বাগানের ২৬ নম্বর সেকশনে খাঁচা পাতা হয়েছিল। তারপর খাঁচার জায়গা পাল্টে দেওয়া হয়। সেই খঁাচায় বন্দি হয় ওই চিতাবাঘটি।