Siliguri Dengue Infection

একই ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্ত মোট ছয়, মিলল মশার লার্ভা

নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে যে বাড়ির ছাদ থেকে জলভর্তি বোতল উদ্ধার হয়েছে তার লাগোয়া বাড়ির বাসিন্দা মঞ্জু দাস এবং মহম্মদ আসিক ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি।

Advertisement

সৌমিত্র কুন্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ০৯:২৫
Share:

বোতলের ভিতর জমে থাকা জলে মিলেছে ডেঙ্গির লার্ভা । শিলিগুড়ির খালপাড়া একটি বাড়ির ছাদে।   নিজস্ব চিত্র।

ফের আরও অন্তত তিন জন ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলল শিলিগুড়ির ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। গত ছ’দিনে ওই ওয়ার্ডে অন্তত ৬ জন আক্রান্ত বলে অভিযোগ। তাতে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাড়ি বাড়ি ডেঙ্গির সমীক্ষা এবং সাফাই ঠিক মতো না হওয়াতেই যে বিপদ বেড়েছে তা ফের প্রমাণিত। রবিবার ওই ওয়ার্ডের খালপাড়া এলাকায় যেখানে সংক্রমণ ঘটছে সেখানে একটি বাড়ির ছাদ থেকে পানীয়ের শতাধিক মুখ খোলা বোতল উদ্ধার হয়েছে। তাতে জমে থাকা জলে ডেঙ্গির প্রচুর লার্ভা মিলেছে। সেখান থেকেই এলাকায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিন সেগুলো নষ্ট করা হয়েছে।

Advertisement

বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার সময় আগেই কেন তা নজরে পড়েনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে যে বাড়ির ছাদ থেকে জলভর্তি বোতল উদ্ধার হয়েছে তার লাগোয়া বাড়ির বাসিন্দা মঞ্জু দাস এবং মহম্মদ আসিক ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি আর এক জন। ওই এলাকার আর একটি শিশু ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন বলে এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এ ছাড়া খালপাড়ার নার্সিংহোমে, বর্ধমান রোডের নার্সিংহোমে এবং শিলিগুড়ি হাসপাতালে আরও তিন জন চিকিৎসাধীন।

মেয়র গৌতম দেব দলীয় কর্মসূচিতে শহরের বাইরে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বাড়িগুলোতে গিয়ে জল জমে থাকা বোতলগুলি উদ্ধার করা গিয়েছে। তাতে কিছুটা কাজ হবে। এলাকায় আরও ভাল ভাবে যাতে নজরদারি এবং সাফাইয়ের কাজ হয় সে জন্য বলা হচ্ছে।’’ এলাকার পুরপ্রতিনিধি পিন্টু ঘোষ জানান, এ দিন আক্রান্ত এলাকায় একটি বাড়ির ছাদ থেকে পানীয় প্রচুর বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

বিদ্যাসাগর রোড লাগোয়া শীতলা মন্দিরের কাছে খাটাল এবং পিছনের অংশে পরিত্যক্ত জমিতে ডোবার আকারে জল জমে রয়েছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। এলাকার প্রাক্তন বাম পুরপ্রতিনিধি তথা বর্তমানে তৃণমূল নেতা রামেশ্বর গুপ্ত বলেন, ‘‘দেওয়ালে ঘেরা পরিত্যক্ত জমিতে জল জমে থাকছে। তাতে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement