হোম নিয়ে অভিযোগ ওড়ালেন হিতেন-পত্নী

মাথাভাঙার ‘মাতৃ আশ্রয়’ হোমের অব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের তোলা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করলেন বিধায়ক হিতেন বর্মনের স্ত্রী কল্পনা বর্মন। শনিবার দুপুরে মাথাভাঙায় সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি দাবি করেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত উদ্যোগে হোমে থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা সহ যা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে তা কোনওদিক থেকেই খারাপ নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০৮
Share:

এই হোম নিয়েই বিতর্ক ও অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র

মাথাভাঙার ‘মাতৃ আশ্রয়’ হোমের অব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের তোলা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করলেন বিধায়ক হিতেন বর্মনের স্ত্রী কল্পনা বর্মন। শনিবার দুপুরে মাথাভাঙায় সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি দাবি করেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত উদ্যোগে হোমে থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা সহ যা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে তা কোনওদিক থেকেই খারাপ নয়। ভিত্তিহীন কিছু অভিযোগ তুলে শো-কজ করা হয়েছে আমাকে। আমি অবশ্যই শো-কজের জবাব দেব। আমার কাজ আমি চালিয়ে যাব।’’

Advertisement

মাথাভাঙার পচাগড় মোড়ে ওই হোমটি চালান কল্পনাদেবী। মাসখানেক আগে ওই হোমের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম এবং তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে সমাজকল্যাণ দফতরের সচিবকে চিঠি পাঠান কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন। এর জেরেই শুক্রবার সমাজকল্যাণ দফতরের তরফে ওই হোম কর্তৃপক্ষকে শো-কজ করা হয়। জেলাশাসক বলেন, ‘‘বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই হোম কর্তৃপক্ষকে শো-কজ করা হয়েছে।’’

বছর ছয়েক আগে ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী মেয়েদের জন্য ওই হোমটি তৈরি হয়। আবাসিকদের একাংশের অভিযোগ, ওই হোমে বসবাসের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই। রান্নাঘর ও শৌচাগারের বেহাল অবস্থা। প্রশাসনের নির্দেশ থাকলেও হোমে কোনও ‘কমপ্লেন বক্স’ রাখা হয়নি। হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়নি। আবাসিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না। প্রশাসনের অভিযোগ, ওই হোমের আবাসিকদের সম্পর্কে কোনও তথ্য তাদের জানানো হয় না। প্রশাসনের আধিকারিকরা কিছুদিন আগে পরিদর্শনে গেলে তাঁদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ দিন অবশ্য সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন কল্পনাদেবী। তিনি বলেন, ‘‘ছ’বছরে কোনও সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। পুরোটাই চলছে ব্যক্তিগত উদ্যোগে।’’ হোমের ভিতরে অবশ্য এ দিন কমপ্লেন বক্স, হেল্পলাইন নম্বর টাঙানো ছিল। যদিও অভিযোগ, শো-কজের চিঠি পাওয়ার পরে তড়িঘড়ি ওইসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

Advertisement

তৃণমূলের একটি অংশও ওই হোমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁদের দাবি, গোটা বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত। মাথাভাঙা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবু তালেব আজাদ বলেন, “সরকারি আধিকারিকদের সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে প্রশাসন জানিয়েছে। সেখানে আসলে কি হচ্ছে তা বাইরে আসা উচিত। সে জন্য আমরা তদন্ত দাবি করেছি। কোনওভাবেই যাতে সরকার ও প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয় সেদিকে দেখা উচিত।” হিতেনবাবু অবশ্য বৃহস্পতিবার জানান, তিনি ওই হোমের সঙ্গে যুক্ত নন। যা বলার হোম কর্তৃপক্ষ বলবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement