ভাগাড় নয় উত্তর বাইরাগুড়িতে

ট্যুরিস্ট স্পটের আশ্বাস সৌরভের

উত্তর বাইরাগুড়ি গ্রামে ডাম্পিং গ্রাউন্ড করা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ উত্তর বাইরাগুড়ি গ্রামে যান বিধায়ক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৩৬
Share:

উত্তর বাইরাগুড়ি গ্রামে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। — নারায়ণ দে

উত্তর বাইরাগুড়ি গ্রামে ডাম্পিং গ্রাউন্ড করা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ উত্তর বাইরাগুড়ি গ্রামে যান বিধায়ক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব কার্যত স্বীকার করে নেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা না করে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে এলাকায় গিয়ে ময়লা ফেলা ঠিক হয়নি পুরসভার চেয়ারম্যানের।

Advertisement

ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জায়গা নিয়ে দলের মধ্যে মতবিরোধ থাকায় এই প্রকল্প কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আবর্জনা ফেলা নিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশ কর্মীদের মার খাওয়ার ঘটনায় প্রশাসনের পাশাপাশি অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল।

এর আগে মধ্য চাপাতলি গ্রামে ডাম্পিং গ্রাউন্ড করার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে ৫ একর জায়গা দেওয়া হয়েছিল আলিপুরদুয়ার পুরসভাকে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের একাংশের চাপে সেখানে বাসিন্দারা ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে দেয়নি। এ বার উত্তরবাইরাগুড়ি গ্রামে প্রশাসনের তরফে ময়লা ফেলার জায়গা দেওয়া হলে ফের অশান্তির সৃষ্টি হয়। শনিবার গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশকর্মীদের মারধরের ঘটনায় ৬ গ্রামবাসীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

এ দিন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী এলাকায় গিয়ে বলেন, “ উত্তরবাইরাগুড়ি গ্রামে ডাম্পিং গ্রাউন্ড বা সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট কিছুই হবে না। এলাকায় মহিলাদের দিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী করে পিকনিক স্পট বা উন্নয়ন মূলক কাজ করা হবে। তবে শহরের ময়লা ফেলার জন্য ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জায়গা দেখা হচ্ছে।”

তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার নেতারা জানান, গত নভেম্বর মাসে শহরের জঞ্জাল সমস্যার সমাধান করতে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য জায়গা দেওয়ার কথা বলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জেলা প্রশাসন দু’টি সরকারি জায়গা বরাদ্দ করলেও পুরসভা কারও সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই এলাকায় ময়লা ফেলতে যাওয়ায় প্রকল্পটি ভেস্তে গেল।

বিষয়টি অবশ্য অস্বীকার করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান আশিষ দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের তরফে জঞ্জাল ফেলার এলাকা নির্ধারণ করে দেওয়ায় আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। বাধা পাওয়ায় কাজ হয়নি।’’ শাসক দলের একাধিক কাউন্সিলর জানান ডাম্পিং গ্রাউন্ডের মত সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। ময়লা ফেলার আগে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও বসা উচিত ছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement