সাবেক ছিট

ঘোষণায় নির্মল গ্রাম হলেও শৌচকর্ম মাঠেঘাটেই

একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত নির্মল ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা সাবেক ছিটমহলগুলিতে বহু মানুষ এখনও খোলা আকাশের নিচে শৌচকর্ম করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কী কারণে সাবেক ছিটের ওই গ্রামগুলি এখনও নির্মল করা যায়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছিটমহল বিনিময় হওয়ার আগে থেকেই এলাকা উন্নয়নে নানারকম আশ্বাস প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজ কিছুই হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:১৪
Share:

একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত নির্মল ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা সাবেক ছিটমহলগুলিতে বহু মানুষ এখনও খোলা আকাশের নিচে শৌচকর্ম করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কী কারণে সাবেক ছিটের ওই গ্রামগুলি এখনও নির্মল করা যায়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছিটমহল বিনিময় হওয়ার আগে থেকেই এলাকা উন্নয়নে নানারকম আশ্বাস প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজ কিছুই হয়নি। যখন সরকার আশেপাশের এলাকাগুলি নির্মল করতে প্রচেষ্টা শুরু করে তখনও সাবেক ছিটমহলগুলিকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন জানান, সমস্ত সাবেক ছিটমহল এখনও নির্মল ঘোষণা করা হয়নি। সেখানে প্রচার শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ধারাবাহিক প্রচার ও মানুষকে সচেতন করতে মাঠে নামে আমরা জেলার অনেক বড় অংশ নির্মল করতে সফল হয়েছি। আগামীতে বাকি এলাকাও নির্মল করার লক্ষ্যে আমরা শপথ নিয়েছি। সেই তালিকায় সাবেক ছিটমহল থাকবে।”

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, জেলায় কোচবিহারের নাজিরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েত নির্মল ঘোষণা করা হয়। এর পরে একে ওই পঞ্চায়েত লাগোয়া অন্য এলাকাগুলিও নির্মল ঘোষণা করা। দিনহাটা-২ নম্বর ব্লককেও ইতিমধ্যে নির্মল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর কোচবিহারে আনুষ্ঠানিক ভাবে আরও পঞ্চাশটি পঞ্চায়েত নির্মল ঘোষণা করা হবে। অভিযোগ, দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের মধ্যে থাকা সাবেক ছিটমহল মশালডাঙা, পোয়াতুরকুঠি, করলা এলাকায় বহু মানুষের বাড়িতে এখনও শৌচাগার নেই।

সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের অনেকের মধ্যে যে সচেতনতারও অভাব রয়েছে, সে কথাও কেউ অস্বীকার করেন না। কিন্তু সে সব প্রচারে প্রশাসনিক উদ্যোগও তেমন ভাবে নজরে পড়েনি বলে দাবি করেছেন অনেকে। শুধু তাই নয়, শৌচাগার তৈরিতে সরকারি সহযোগিতার কথাও অনেক মানুষ জানেন না। বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “নির্মল গ্রাম ঘোষণার বিষয়টি একটি হাস্যকর জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। তড়িঘড়ি করে কিছু গ্রাম ঘোষণা করে দেওয়া হচ্ছে। বাস্তবক্ষেত্রে পরিস্থিতি অন্যরকম। সেই ছবি তুলে ধরে প্রশাসনের কাজ করা উচিত।”

Advertisement

সাবেক ছিটমহল ছাড়াও যে এলাকাগুলি নির্মল ঘোষণা হয়েছে সেখানেও অনেক খামতি রয়েছে। সঠিক ভাবে শৌচাগার তৈরি করা হয়নি বলে অভিযোগ। নাজিরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়াতের বাসিন্দা জেলা পরিষদের সদস্য তরণীকান্ত বর্মন অবশ্য দাবি করেন, ওই অভিযোগ ঠিক নয়। তিনি বলেন, “বড় অংশে আমরা ইতিমধ্যেই সফল হয়েছি। বাকি অংশেও দ্রুত সফলতা আসবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement