ব্যাঙ্কের লাইন থেকে উধাও শিশু উদ্ধার

ব্যাঙ্কের লাইনে বেশ ভিড় ছিল৷ কোলের শিশুটিকে তাই দিদির কোলে দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন মা৷ কিন্তু তাঁর দিদি যেন সেই সুযোগেরই অপেক্ষায় ছিলেন৷ অভিযোগ, কোলে শিশু দেওয়ার পর মা ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়াতেই শিশুটিকে নিয়ে সোজা জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে চম্পট দেন তিনি৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:২১
Share:

ব্যাঙ্কের লাইনে বেশ ভিড় ছিল৷ কোলের শিশুটিকে তাই দিদির কোলে দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন মা৷ কিন্তু তাঁর দিদি যেন সেই সুযোগেরই অপেক্ষায় ছিলেন৷ অভিযোগ, কোলে শিশু দেওয়ার পর মা ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়াতেই শিশুটিকে নিয়ে সোজা জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে চম্পট দেন তিনি৷ প্রায় এক মাস পর দিল্লি থেকে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করল পুলিশ৷ গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুর মাসিকে৷

Advertisement

ক্রান্তির রাজাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বারোঘরিয়ায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত এক বছরের শিশুটি৷ শিশুর মা সুমিতা রায় জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর ক্রান্তিতেই রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাঙ্কের লাইনে এক বছরের শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে টাকা তুলতে দাঁড়ান তিনি৷ ব্যাঙ্কের বাইরে দাড়িয়ে ছিলেন সুমিতাদেবীর দিদি চৈতি রায়৷ লাইন অনেক বড় থাকায় খানিকক্ষণ পর চৈতির কোলে মেয়েকে দিয়ে ফের লাইনে দাঁড়ান সুমিতাদেবী৷ কিন্তু টাকা তুলে বেরিয়ে এসে দেখেন মেয়ে সমেত দিদি চৈতি উধাও৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই চৈতির। গত কয়েক বছর ধরে দিল্লিতে থাকেন৷ দিল্লিতে আরেকটি বিয়েও করেছেন বলে বাড়ির লোকেদের জানিয়েছেন৷ তবে দিল্লিতে থাকলেও মাঝে মধ্যে ক্রান্তিতে নিজের বাবার বাড়িতে আসতেন চৈতি৷ সুমিতাদেবী জানান, “এ বার বাড়ি আসার পর বারবার করেই দিদি বলছিল, আমার মেয়েকে তাকে দিয়ে দিতে৷ দিদি বলছিল মেয়েকে দিল্লিতে নিয়ে যাবে৷ কিন্তু আমি রাজি হইনি৷ কিন্তু এটাও ভাবতে পারিনি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার লাইনে আমার দাড়িয়ে থাকার সুযোগ নিয়ে দিদি মেয়েকে চুরি করে পালিয়ে যাবে৷”

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, দিদি মেয়েকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পরি ক্রান্তি ফাঁড়ির দ্বারস্থ হন সুমিতাদেবী ও তার বাড়ির লোকেরা৷ এরপর দিল্লি পুলিশের সাহায্যে শিশু সহ চৈতির খোঁজ শুরু করে পুলিশ৷ শেষ পর্যন্ত গত ১৩ জানুয়ারি দিল্লির সুলতানপুর এলাকা থেকে ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে৷ সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় চৈতিকে৷ শিশু সহ চৈতিকে এ দিন জলপাইগুড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে৷

পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ঠিক কী উদ্দেশ্যে চৈতি শিশুটিকে নিয়ে দিল্লি চলে যান, তা এখনও পরিষ্কার নয়৷ পুলিশ সুপার এ দিন জলপাইগুড়ির চাইল্ড লাইনের হাতে শিশুটিকে তুলে দেন৷ যদিও ধৃত মহিলার দাবি, ‘‘আমি শিশুটিকে চুরি করিনি৷ বড় করব বলে ওর মাকে জানিয়েই দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলাম৷’’ তবে তাঁর এই দাবি মানতে নারাজ পুলিশ কিংবা শিশুর বাড়ির লোকেরা৷ সুমিতাদেবী বলেন, ‘‘নিজের মাসি হয়ে চৈতি যেভাবে শিশুটিকেচুরি করল সেজন্য ওর কড়া শাস্তি হোক সেটাই আমি চাই৷’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement