শিশুর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে চলল লুঠপাট

 ভোররাতে এক রেস্তোরাঁ কর্মীর বাড়িতে ঢুকে দু’বছরের শিশুকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে টাকা, সোনার গয়না ও মোবাইল ফোন লুঠ করে পালালো দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ প্রধাননগর থানার উত্তর মাল্লাগুড়ির ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৪
Share:

ভোররাতে এক রেস্তোরাঁ কর্মীর বাড়িতে ঢুকে দু’বছরের শিশুকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে টাকা, সোনার গয়না ও মোবাইল ফোন লুঠ করে পালালো দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ প্রধাননগর থানার উত্তর মাল্লাগুড়ির ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ভোরে ওই ব্যক্তির মা ঘরের বাইরে শৌচালয়ে যান। ঘরের দরজা খোলা ছিল। তিনি ঘরে ঢুকতেই দেখেন, মুখ বাঁধা তিন যুবক ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র এবং একটি পিস্তল। মহিলাকে এক কোণে সরিয়ে দিয়েও ঘরে থাকা শিশুকন্যার মাথায় অস্ত্র ধরে আলমারির চাবি চায় দুষ্কৃতীরা। তার পরে ৮ হাজার টাকা, সোনার গয়না এবং ৪টি মোবাইল ফোন নিয়ে পালায় তারা। কিছুক্ষণ পর প্রদীপ ঠাকুর নামের ওই ব্যক্তি চেঁচামেচি করায় পড়শিরা টের পান।

ঘটনার জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের নজরদারির দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, দেবীডাঙা, মাল্লাগুড়ি বা চম্পাসারিতে পুলিশের নজরদারি ভ্যানের দেখা মেলে না। স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ বর্মনও জানান, এলাকার বহু খালি মাঠ ও এলাকা রয়েছে। লোকজনের আনাগোনাও আছে। পুলিশকে বারবার নজরদারি বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।

Advertisement

বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছেন নতুন পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কিছু সূত্র মিলেছে। প্রধাননগর থানাকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, প্রদীপ ঠাকুরের বাড়ি কলকাতায়। স্ত্রী সোনম এবং শিশুকন্যাকে নিয়ে তিনি ভাড়াবাড়িতে থাকেন। দুই মাইল এলাকার একটি রেঁস্তোরা চেইনের শাখায় তিনি কর্মরত। সম্প্রতি তাঁর বাবা ও মাও কলকাতা থেকে এসেছেন। তাঁর মা হীরামণিদেবী জানান, ভোরবেলা শৌচালয়ে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে প্রথম তিন যুবককে দেখেন। সকলে হিন্দিতে কথা বলছিল। কাপড় দিয়ে মুখ বাঁধা ছিল। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। আমরা আতঙ্কে চাবি দিয়ে দিয়েছি। টাকা, গয়না, মোবাইল সব নিয়ে গিয়েছে। চিৎকার করলে গুলি করার হুমকি দেয়। পুলিশকে জানালে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে পালিয়েছে।’’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন ধরে চম্পাসারি, দেবীডাঙা, মিলনমোড় এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম বাড়ছে। মাদকাসক্ত যুবকরা মহিলাদের উত্যক্ত করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কয়েক মাস আগে এলাকার একটি হাইস্কুলে মাঠে একদল বহিরাগতের অসামাজিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হয়েছিলেন খোদ এক তৃণমূল নেতাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement