চিন্তা: গোর্খা ভবনে মোর্চার নেতারা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
লেকের এ প্রান্তে দাঁড়ালে টলটল করা জলে দেখা যায় সারি সারি পাইন গাছের ছায়া। মিরিক শুনলে এমন ছবি ভেসে ওঠে অনেকের মনেই। এখন ঘোলা জলে ছায়া ভাসে না। লেকের পাশের ঘাস জমির সবুজ উধাও। বাসিন্দাদের অনেকেরই দাবি, এবার এই শহরে ভোট প্রচারের প্রধান আলোচিত বিষয়।
বছর ভর লেকের পাশে পাইনের গাছে মন্ত্রলেখা কাপড়ের টুকরো ঝোলানো থাকে। প্রচলিত বিশ্বাস বাতাসের তরঙ্গে ভর করে সেই মন্ত্র পৌঁছে যায় ঈশ্বরের কাছে। ভোটের মরসুমে পাইন গাছে ঝোলানো হয়েছিল ভোট চেয়ে পোস্টার ফেস্টুনও। তবে স্থানীয়দের কয়েকজন সে সব খুলে দিয়েছেন বলে জানা গেল। সৌন্দর্য রক্ষায় এতটাই সচেতন বাসিন্দাদের কেউ কেউ। সে কথা জানেন যুযুধান দু’পক্ষই। তৃণমূলের প্রচারে আসা পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস থেকে মুকুল রায় সকলের মুখেই ঘুরেফিরে এসেছে মিরিক লেক প্রসঙ্গ।। ভোটে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী পাহাড়ি শহরের প্রায় প্রতিটি বাড়ির দরজায় কড়া নেড়ে ফেলেছেন। সৌরভের কথায়, ‘‘সকলকে বলেছি এতবছর জিটিএ-পুরসভার ক্ষমতায় থেকেও মোর্চা নেতারাও লেকের দিকে তাকায়নি।’’
লেপচা ভাষায় মির-ইয়ক থেকে মিরিক। মির-ইয়ের অর্থ দগ্ধস্থান। নামের সঙ্গে থাকা ধ্বংসের অনুষঙ্গ শহর এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে প্রচার চালিয়েছেন একদা দাপুটে মোর্চা নেতা লালবাহাদুর রাই। তিনি এবারেও প্রার্থী। তবে তৃণমূলের। গুরুঙ্গের ডান হাত এলবি দাজুকে দলে টেনে মোর্চাকে ভোটের আগেই তৃণমূল এক গোল দিয়েছে বলে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি।