Siliguri

মৃতদেহ থেকে খুলি উধাও উত্তরবঙ্গে, ২৬ দিন আগে কবর দেওয়া হয়েছিল নাবালিকাকে

স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৬ দিন আগে শারীরিক অসুস্থার কারণে মৃত্যু হয় ৯ বছরের নাবালিকা পায়েল সিংহের। মৃত্যুর পর তার দেহ শ্মশান ঘাটের পাশে কবর দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৫৭
Share:

কবর থেকে মাথার খুলি উধাও। নিজস্ব চিত্র।

মাসখানেক আগে মৃত্যুর পর কবর দেওয়া হয়েছিল নাবালিকার দেহ। তার দেহ কবর দেওয়া হয়েছিল শ্মশান ঘাটের পাশেই একটি জায়গায়। সেই কবর থেকে উধাও মাথার খুলি! শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ঘটনা।

Advertisement

এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে দার্জিলিঙের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনোরঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘‘পরিবার অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অবশ্যই তদন্ত করবে।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৬ দিন আগে শারীরিক অসুস্থার কারণে মৃত্যু হয় ৯ বছরের নাবালিকা পায়েল সিংহের। মৃত্যুর পর তার দেহ শ্মশান ঘাটের পাশে কবর দেওয়া হয়। সোমবার শ্মশানের দায়িত্বে থাকা এক সন্ন্যাসী মাঠে শৌচকর্ম করতে যাওয়ার সময় দেখেন, নাবালিকাকে যেখানে কবর দেওয়া হয়েছিল, সেই জায়গার মাটি খোঁড়া। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক তৈরি হয় এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ। পুলিশ এসে দেখে, মৃতদেহের পা দু’টি কবর থেকে বার করা। এর পর মাটি সরাতেই দেখা যায়, কবরে মাথার খুলি নেই!

Advertisement

এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য জগদীশ রায় বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা কোনও দিন এই এলাকায় ঘটেনি। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা উচিত। দোষীদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’’ মৃতার দাদু ভজা সিংহ বলেন, ‘‘বহু দিন ধরে রোগে ভুগে আমার নাতনির মৃত্যু হয়। সকালে শুনতে পেলাম, মাথার খুলি নাকি উধাও! দেহের বেশ খানিকটা অংশও নাকি বাইরে বেরিয়ে ছিল। কে বা কারা করেছে, জানা নেই। কিসের উদ্দেশে করেছে, তা-ও তো বুঝতে পারছি না।’’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই ১৪ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের আমবাড়িতে কবর থেকে মাথার খুলি উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। গত ২৩ ডিসেম্বর ভান্ডারিগছের দুই তরুণ রবিউল ইসলাম এবং মুক্তি আজম বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল। রাতে বাড়ি থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে রাস্তার পাশ থেকে দু’জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বেশ কয়েক দিন চিকিৎসার পর দুই যুবকেরই মৃত্যু হয়। দু’টি দেহের ময়নাতদন্তের পর কবর দেওয়া হয় পার্শ্ববর্তী গধেয়াগছ এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, রবিউলের সঙ্গে এক কিশোরীর প্রেম ছিল। সেই সম্পর্কের কারণেই তাঁকে খুন হতে হয়েছে বলে দাবি করে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিল পরিবার। তার ভিত্তিতে আবার মৃতের দেহের ময়নাতদন্ত হওয়ারও কথা ছিল। তার আগেই কবর থেকে চুরি হয়ে যায় দেহ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement