West Bengal Panchayat Election 2023

গণ ইস্তফার দাবি সংখ্যালঘু সেলের, চর্চা

মালদহের বিনয় সরকার অতিথি আবাসে দলের জেলা পরিষদের প্রার্থীদের ডেকে নাম ঘোষণা করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩ ০৮:৩৪
Share:

গণ ইস্তফা। নিজস্ব চিত্র

সভাপতির ছেলে থেকে মন্ত্রীর ভাই—মালদহে তৃণমূল জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই হয়েছে একাধিক নেতা-মন্ত্রীর আত্মীয়দের। এ দিন এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই দলে স্বজনপোষণ এবং টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ তুলে একযোগে গণ ইস্তফার দেওয়ার দাবি করলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতৃত্বরা।

Advertisement

বুধবার, মালদহের বিনয় সরকার অতিথি আবাসে দলের জেলা পরিষদের প্রার্থীদের ডেকে নাম ঘোষণা করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তবে, বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রে এখনও তিনটি আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারেনি তৃণমূল। এর পরেই মালদহ প্রেস কর্নারে সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি আনহারুল হক বলেন, “জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েত—তিনটি আসনই লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি, বিধায়কেরা টিকিট বিক্রি করেছেন। এ ছাড়া নিজেদের ভাই, ছেলে, আত্মীয়দের টিকিট দিয়েছেন।” সংগঠনের জেলা সভাপতি মুসারফ হোসেন বলেন, “দলের সংখ্যালঘু সেলের কোনও সদস্যকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের একটিও টিকিট দেওয়া হয়নি। এ দিন সংগঠনের ৭৩ জন সদস্যই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে সিদ্ধান্ত সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও পাঠানো হয়েছে।”

যদিও টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বিক্ষুব্ধদের পাল্টা আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী। তিনি বলেন, “দল থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়ে এখন অনেকে দলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। যাঁরা দলকে ভালবাসেন তাঁরা কখনওই দলের বিরুদ্ধে যাবেন না।”

Advertisement

দলীয় নেতৃত্বের দাবি, ৪৩টি জেলা পরিষদ আসনের ৪০টির জন্য প্রার্থী ডেকে তাঁদের নাম জানানো হয়েছে। এ বারে প্রায় ২৯ জন নতুন মুখ রয়েছেন। এর মধ্যে, পঞ্চায়েত সমিতির দুই বিদায়ী সভাপতি মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি, লিপিকা বর্মণ ঘোষ, কবিতা মণ্ডলকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করা হয়েছে। প্রার্থী হয়েছেন রহিম বক্সীর ছেলে, রাজ্যের মন্ত্রী তজমুল হোসেনের ভাইও।

প্রার্থীর দৌড়ে মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের জামাই টিঙ্কু সরকার থাকলেও তাঁকে প্রার্থী করা হয়নি। সহকারী সভাধিপতি, বিধায়ক তথা যুব সভাপতি চন্দনা সরকারের নামও নেই। যদিও, বৈষ্ণবনগরে প্রার্থীদের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি চন্দনার সঙ্গে। সাবিত্রী বলেন, “দল যাঁকে প্রার্থী করবে, তাঁর হয়েই ভোট করব।” আজ, বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের প্রার্থীরা এক সঙ্গে মনোনয়ন জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement