প্রতীকী ছবি।
স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদহের রতুয়া থানা এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা তিন অভিযুক্ত। শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মালদহের রতুয়া থানার দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাকাইয়া গ্রামে থাকে ওই নাবালিকা। তার অভিযোগ, কিছু দিন আগে সে টিউশন পড়তে যাচ্ছিল। সে সময় পাশের গ্রামের রহিমুল হক-সহ তিন জন রাস্তা থেকে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। এর পর মাদক খাইয়ে সারা দিন ধরে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। পরে রাস্তার ধারে নির্যাতিতাকে ফেলে পালায় তারা। সে দিন কোনও মতে বাড়ি ফিরে আসে অত্যাচারিতা।
নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় নির্যাতিতার বাবা গিয়েছিলেন অন্য জায়গায় শ্রমিকের কাজ করতে। তিনি ফিরে এসে রতুয়া থানায় যান অভিযোগ জানাতে। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, সে সময় পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। শনিবার মালদহের পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানায় নির্যাতিতার পরিবার। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তরা ছাড় পাবে না।
এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। শাসকদলের ঘনিষ্ট হওয়াতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ জেলা বিজেপি-র। মালদহ জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেছেন, ‘‘অভিযুক্তরা রাজ্যের শাসকদলের ঘনিষ্ঠ। সেই কারণেই পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ব্যবস্থা না নিলে আমরা আন্দোলনে নামব।’’ এর জবাবে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যক্তির অপরাধের দায় তৃণমূল নেবে না। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে।
রতুয়ায় গণধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে অবরুদ্ধ রতুয়া ভালুকা রাজ্য সড়ক।