জুনিয়র ডাক্তারের শারীরিক পরিক্ষা করা হচ্ছে। —ফাইল চিত্র।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অনশন অবস্থানরত সন্দীপ মণ্ডলের আলট্রা-সোনোগ্রাফি করা হল। শনিবার পেট ব্যথা অনুভূত হওয়ায় তাঁর ওই পরীক্ষা করানো হয়। মেডিক্যাল টিমের তরফে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। খুব বেশি সমস্যা এখনও হয়নি বলে জানানো হয়েছে। ১৩০ ঘণ্টারও বেশি অনশনে থাকায় সন্দীপের শারীরিক অবস্থার দিকে নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মেডিক্যাল টিমের তরফে জানানো হয়েছে।
অন্য দিকে, অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় কয়েকদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে শুক্রবার রাতে ছুটি দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের ওই ইনটার্ন হস্টেলে রয়েছেন বলে আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে। এর আগে অলোককুমার বর্মাও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ভাড়া বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মেডিক্যাল টিমের অন্যতম তথা মেডিসিন বিভাগের প্রধান দীপাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘সন্দীপের শারীরিক অবস্থা একই রয়েছে। খুব বেশি কিছু সমস্যা এখনও নেই। এ দিন আলট্রা-সোনোগ্রাফি করা হয়েছিল। তবে ছ’দিন অনশনে থাকায় তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। যে কোনও সময় সমস্যা হতে পারে।’’ মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান জানান, সৌভিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে শুক্রবার রাতেই ছুটি দেওয়া হয়েছে।
কলকাতায় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-এর তরফে শুক্রবার রাতে বৈঠক হয় আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে। এ দিন রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে যাওয়া এবং খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকারীদের কাজে ফিরতে বলার পরে, এ বারতাঁরা কোন পথে যাবেন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে আন্দোলনকারীরা জানান।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে আন্দোলনকারীদের তরফে উৎস আইচ, প্রসূনকুমার মাইতি জানান, কাল, সোমবার সরকারের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। তাঁদের দাবি নিয়ে সরকারের মনোভাব জানার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করাহবে।