ভোগান্তি: শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে বাড়ছে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ছবি: স্বরূপ সরকার
বিরোধী তৃণমূল কাউন্সিলরের ওয়ার্ড অফিসে বসে এলাকার আবর্জনা সাফাই, প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বর্জন এবং ডেঙ্গি সচেতনতার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল দত্তের অফিসে যান মেয়র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্তও। বিরোধী দলের কাউন্সিলরের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোঁজ নেন মেয়র। তার আগে তিনি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডেও গিয়েছিলেন। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরবিন্দ ঘোষ মারা যাওয়ার পর থেকে ওয়ার্ডটি কাউন্সিলর-শূন্য। মেয়র বলেন, ‘‘বিরোধী বা তৃণমূল বলে নয়, সব কাউন্সিলরদের সমস্যার কথাই শুনছি। এলাকায় যাচ্ছি। সবাই মিলেই তো কাজ করতে হবে।’’
তৃণমূল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দুলালবাবু বলেন, ‘‘ওয়ার্ডে সাফাই কর্মীর সমস্যা থাকায় নর্দমাগুলি আবর্জনায় ভরে থাকে। রাস্তার পাশে আবর্জনায় মশার লার্ভা দেখা যায়। পরিবেশ দূষণও হচ্ছে। মেয়র আশ্বাস দিয়েছেন। দেখি কাজ কতটা হয়।’’ এ দিনই ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা অভিযান-সহ শহরকে দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে বিশেষ কর্মী প্রশিক্ষণ শিবির করেছে পুরসভা। ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ১৫০০ মহিলা আরোগ্য সমিতি এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী মহিলাদের নিয়ে কর্মশালা হয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে মহিলারা আবর্জনা যাতে যত্রতত্র না ফেলা হয় সে বিষয়ে জানাবেন। বাড়িতে জমা জল যাতে না থাকে সে বিষয়ও বাসিন্দাদের তাঁরা সচেতন করবেন।
শিবিরে গত বছরের ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়ে মেয়র মহিলা কর্মীদের জানান, ডেঙ্গি রোগ সচেতনতা বৃদ্ধি নিয়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিশু-কিশোদের যুক্ত করতে হবে। শহরে ‘পরিচ্ছন্নতা ও ডেঙ্গি রোধ’ সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইক প্রচার এবং লিফলেট বিলি করতে হবে। এ ছাড়া, পথনাটকের আয়োজন করাটা জরুরি। মেয়র বলেন, ‘‘এ বছর শহরে এখন ডেঙ্গি ধরা পড়েনি। দলমতনির্বিশেষে প্রত্যেক ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই, প্লাস্টিক ক্যারিবাগ বন্ধে ও ডেঙ্গি সচেতনতায় সকলে এগিয়ে আসুক।’’
এ দিন স্টেডিয়ামে অবশ্য বিরোধী দলের কাউকে দেখা যায়নি। বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘মেয়র ঘুরছেন ঠিকই। কিন্তু ডেঙ্গি সচেতনতায় ব্যবস্থা নিতে পাচ্ছেন না। ওয়ার্ডের নর্দমাগুলি আবর্জনায় ভরেছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।’’