West Bengal Panchayat Election 2023

নব্বই শতাংশ বুথেই থাকছে না বাহিনী

পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে আলিপুরদুয়ারে সাত কোম্পানি বাহিনী আগেই এসেছে। আরও দশ কোম্পানি বাহিনী আসতে চলেছে বলে প্রশাসন ও পুলিশের কাছে খবর ছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৩ ০৬:২৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

শুক্রবার, ভোটের আগের রাত পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলেন প্রশাসন ও পুলিশের কর্তারা। তৈরি রাখা হল গাড়িও। কিন্তু আলিপুরদুয়ারে এল না বাকি দশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে, জেলার প্রায় ৯০ শতাংশ বুথে কার্যত কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই হতে চলেছে আজকের ভোট। তবে পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই বুথগুলিতে থাকবেন এক জন করে সশস্ত্র পুলিশ-কর্মী। ভোটারদের লাইন দেখাশোনার দায়িত্বে থাকবেন এক জন করে সিভিক ভলান্টিয়ার। বাকি দশ শতাংশ বুথে এক জন সশস্ত্র পুলিশকর্মীর পাশাপাশি, মোতায়েন করা হবে আগে জেলায় আসা সাত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্য থেকে চার জন করে জওয়ানকে।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে আলিপুরদুয়ারে সাত কোম্পানি বাহিনী আগেই এসেছে। আরও দশ কোম্পানি বাহিনী আসতে চলেছে বলে প্রশাসন ও পুলিশের কাছে খবর ছিল। কিন্তু শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত সে বাহিনী জেলায় পৌঁছয়নি। এ দিকে, আজ, শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ভোট। তাই বাকি জওয়ানেরা আর সময়ের মধ্যে এসে পৌঁছবেন না ধরে নিয়ে কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তার রূপরেখা প্রস্তুত করে ফেলা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, আলিপুরদুয়ারে আগে যে সাত কোম্পানি বাহিনী এসেছে, তাদের মধ্য থেকে অন্তত চার জন জওয়ানকে এক সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। তাই জেলার প্রায় দশ শতাংশ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সেই জওয়ানদের মোতায়েন করা হচ্ছে। যার মধ্যে থাকছে জেলার ২৫টি ‘স্পর্শকাতর’ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র-সহ মহিলা পরিচালিত কেন্দ্র ও প্রত্যন্ত এলাকার কিছু কেন্দ্র। ওই কেন্দ্রগুলিতে থাকবেন এক জন করে সশস্ত্র পুলিশ কর্মীও। কিন্তু বাকি নব্বই শতাংশ বুথে কার্যত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন এক জন সশস্ত্র পুলিশ কর্মী। আর ভোটারদের লাইন সামলাতে এক জন করে সিভিক ভলান্টিয়ার।

Advertisement

অনেক বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকার খবরে ভোটকর্মীদের একাংশ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের এক ভোটকর্মী সুব্রত গুহ বলেন, “আমাদের কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা থাকবে কি না বুঝতে পারছি না। একটু চিন্তায় রয়েছি।” কালচিনির ভোটকর্মী অরিন্দম পোদ্দার বলেন, “আমরা অনেক আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়ে আসছি। তবুও এ দিন এক জন পুলিশ কর্মীকেই আমাদের সঙ্গে কেন্দ্রে পাঠানো হল। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।” আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশীর অবশ্য আশ্বাস,“কড়া নিরাপত্তা মধ্যেই জেলায় ভোট হবে। ভোট শান্তিতে হবে বলে আমরা আশাবাদী।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement