পায়ে শিকল বেঁধে রাখা হয়েছে বিষ্ণুকে। নিজস্ব চিত্র।
এক সময় শৌলমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র বিষ্ণু নজর কেড়ে ছিল অনেকের। কিন্তু বছর ছয়েক আগে তাঁর মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। পরিবারের দাবি, এর পর থেকেই ওই ছাত্র রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না। মারতে তেড়ে আসেন তিনি। আবার অনেক সময় বাড়ি থেকে চলেও যান। তাই বাধ্য হয়ে তাঁকে শিকলে বেঁধে রাখতে হয়।
বিষ্ণুর বাড়ি কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের রানীরহাট অঞ্চলের ১৮৩ শৌলমারী এলাকায়। বর্তমানে তাঁর বয়স ১৯ বছর।
বিষ্ণুর বাবা নবীন রায় বলেছেন, ‘‘জমি বিক্রি করে চিকিৎসা করেও ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে পারিনি। আর চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই।’’ ‘‘ছেলেকে শিকলে বাঁধা দেখলে খুব কষ্ট হয়। কিন্তু বেঁধে না রাখলে ছেলে পালিয়ে যায়। প্রশাসন যদি চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে খুব উপকার হয়’’, অসহায় সুর মা প্রতিমা রায়ের গলাতেও। মেখলিগঞ্জের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অরুণ কুমার সামন্ত বলেছেন, ‘‘ওঁকে বহরমপুরের মানসিক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে।’’