—প্রতীকী চিত্র।
যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে নিজের বাড়িতে শোওয়ার ঘরের বিছানায় যুবকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর গলা নৃশংস ভাবে কেটে দেওয়া হয়েছিল। পাশের ঘরে যুবকের মাকেও আঘাত করা হয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুত্রবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইসলামপুরের নেতাজীনগর এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ তরফদার (৩৮)। পেশায় ব্যবসায়ী অভিজিতের স্ত্রী দীপ্তির বিরুদ্ধে স্বামীকে খুনে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। সোমবার রাতে স্বামীর সঙ্গেই ছিলেন দীপ্তি। মঙ্গলবার ভোরে আচমকা তিনি ‘চোর, চোর’ বলে চিৎকার শুরু করেন। এলাকার বাসিন্দারা চিৎকার শুনে ছুটে যান এবং দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন অভিজিৎ। তাঁর মা প্রতিমা তরফদারও জখম। কিন্তু দুষ্কৃতীরা ঘর থেকে কোনও গয়নাগাটি বা টাকা চুরি করেনি। কেবল দু’টি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়েছে। এর ফলেই তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান পুলিশ।
মৃতের মা প্রতিমা দাবি করেছেন, তাঁর পুত্রবধূ দীপ্তি চক্রান্ত করে স্বামীকে খুন করিয়েছেন বলে তাঁর সন্দেহ। তাঁকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই সন্দেহের ভিত্তিতে তদন্ত করে দীপ্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর দু’জন বান্ধবীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া, পুলিশ দীপ্তির এক বন্ধুকে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই খুন নিছক চোরের কাণ্ড নয় বলেই তাদের ধারণা। ঘরের ভিতর কোনও ধস্তাধস্তির প্রমাণ মেলেনি। তা ছাড়া, বন্ধ দরজা ভিতর থেকে কী ভাবে খোলা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ধৃত তরুণীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। সেই সূত্রে এই খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত করে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।